বাগমারায় স্বামীর সহযোগিতায় গৃহবধুকে গণধর্ষণ: স্বামী গ্রেফতার

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের অর্জুনপাড়া গ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় স্বামী ও তার ৪/৫ জন বন্ধু মিলে গৃহবধুকে ধর্ষনের করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ ওই লম্পট স্বামীকে গ্রেফতার করে এবং গৃহবধুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগমারা মেডিকেলে ভর্তি করেছে।

এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষনে সহযোগিতার অভিযোগে বাগমারা থানায় বৃহস্পতিবার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, হামিরকুৎসা ইউনিয়নের অর্জুনপাড়া গ্রামের আয়েন উদ্দিনের পুত্র জুয়েল রানা(২৬) বিগত আড়াই বছর ধরে ঢাকার একটি গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করে আসছিল। এই সুবাধে একই কারখানার ঢাকার এক তরুনীর সঙ্গে জুয়েল রানা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে গত ৭/৮ মাস পূর্বে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর কিছু দিন তারা ওই কারখানায় একত্রে কাজ করে আসলেও সম্প্রতি জুয়েল রানা ওই তরুনীকে নিয়ে গ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। এদিকে লম্পট অর্থলোভী জুয়েল রানা গ্রামের বাড়িতে এসে ওই তরুনীকে দিয়ে জোর পূর্বক দেহ ব্যবসা শুরু করে। এতে তরুনীটি রাজি না হওয়ায় সে তার কয়েকজন প্রতিবেশিকে বিষয়টি জানায় এবং তাদের সহযোগিতা চায়। এতে লম্পট জুয়েল রানা ক্ষিপ্ত হয়ে সে তরুনীটিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আবারও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে লম্পট জুয়েল রানা সহ তার ৪/৫ জন বন্ধু মিলে ওই তরুনীকে হাত পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তরুনীটির অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারণে এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে । পরদিন সকালে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে ভাগনদি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক(এসআই) আবু জাররা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে লম্পট জুয়েল রানাকে গ্রেফতার ও তরুনীকে উদ্ধার করে বাগমারা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার উপপরিদর্শক(এসআই) হুমায়ুন কবীর ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের অভিযোগে তরুনী নিজেই বাদী হয়ে স্বামী ও তার ৪জন সহযোগিকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। স্বামী জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করে। তরুনীর মেডিকেল পরীক্ষা ও বাঁকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

স/অ