বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে নির্মিত দুটি পাকা দোকানঘর গুঁড়িয়ে দিলেন বাগমারার ইউএনও জাকিউল ইসলাম। সোমবার দুপুরে পুলিশবাহিনীসহ ইউএনও ওই বাজারে উপস্থিত হয়ে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে সরকারি তহসিল অফিসের জায়গায় তৈরি দুটি পাকা দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে সরকারী জমি উদ্ধার করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিস ও ভবানীগঞ্জ ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজারে গড়ে উঠেছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা। এসব কারণে এই বাজারে যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে এবং পথচারীদের চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে। সরকারী জায়গা দখলের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। এ বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় বিগত ৫/৬ মাস পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলামের নির্দেশনায় তৎকালীন এসিল্যান্ড আবুল হায়াত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পড়েন। উচ্ছেদ অভিযানে বাজারের বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। সে অভিযান চালিয়ে এসিল্যান্ড ভবানীগঞ্জ বাজারের জিরো পয়েন্টসহ নিউমার্কেট এলাকা, আলুহাটি ধান হাটি ও তরকারি হাটিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এছাড়া বাজারের বড় মসজিদের সামনে সরকারী তহসিল অফিস সংলগ্ন সরকারী জমি দখল নিয়ে স্থানীয় নুর মোহম্মাদের ছেলে ফজেল হোসেনের দোকান ঘর নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
স্থানীয় দোকানীরা জানান, এসিল্যান্ডের উচ্ছেদ অভিযানের সময় ফজেলের বাড়ির সামনে স্থানীয় তহসিল অফিসের জায়গা দখল নিয়ে ঝামেলা বাধে। তাদের দোকান ঘর অবৈধভাবে সরকারী জায়গায় হওয়ায় দোকান ঘর সরিয়ে নিতে বলা হয়। দোকানীদের নিজস্ব জমি দাবি উঠায় এ নিয়ে কয়েক দফা দেন দরবার বসে। অবশেষে সমঝোতায় নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে দিয়ে পুনরায় দোকানী ফজেল আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দোকান চালু করে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবারো উচ্ছেদে নেমে ফজেলের দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
দোকানী ফজেল দাবি করে বলেন, তার বাড়ির সামনে চয়েজ ল্যান্ডের জমির মালিক রাজশাহীর দরগাপাড়ার আবু আহসানের মেয়ে জাহানারা নিকট থেকে তার মা আকলেমা ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে ক্রয় করেন। এরপর থেকে তারা দখলে আছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হঠাৎ উচ্ছেদে নেমে তার সদ্য নির্মিত দোকান ঘর মালামার গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে দোকানের মালামালসহ তার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে সরকারী তহসিল অফিসের জায়গায় দখল নেয়ায় তা উদ্ধার করা হয়েছে। বাজারে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি পাকা স্থাপনা দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করছে। এছাড়া চয়েজ ল্যান্ডের জমি বলে যারা সুবিধা দাবি করে সেটা ভিত্তিহীন বলে জানান। এসবের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স/শা