বাগমারায় মা-ছেলে খুন: ২ বছর পার হলেও চার্জসিট দেয়নি পুলিশ

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্ত ২ বছরেও শেষ করতে ও চার্জসিট দাখিল করতে পারেনি পুলিশ ফলে গ্রেফতার আতঙ্কে বাগমারাবাসী। মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ জন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
থানা পুলিশ মামলাটির রহস্য অনুসন্ধানে ব্যার্থ হলে শেষ পর্যন্ত বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিকট স্থানান্তর করা হয়। হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া তিনজন গ্রেপ্তার হলেও মূল আসামি এখনো রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

 

জানা য়ায়, উপজেলার বাসুপাড়া ইউপির দেউলা গ্রামে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর মা আকলিমা খাতুন (৪৫) ও ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫) নিজ ঘরে খুন হন। দুজনকেই গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরপরই বাগমারা থানায় মামলা করেন নিহত আকলিমার আরেক ছেলে দুলাল হোসেন।

 

মামলাটি গত বছরের নভেম্বরে পিবিআই রাজশাহীর দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এই মামলার বাদী দুলাল হোসেন অভিযোগ করেন, পুলিশ তদন্তের নামে মূল আসামিকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে এ পর্যন্ত তিনি কোনো সন্তোষজনক সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পাঁচজনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছে নিহত জাহিদুলের মুঠোফোন পাওয়া যায়।
সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (২৮), শ্যামপুরের আবদুল্লাহ আল কাফি (২০), মনিরুল ইসলাম (২৭) খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ২০ ডিসেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলাটির বাদী দুলাল উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, ২ বছর পার হলেও মামলাটির চার্জসিট দাখিল না করে অন্য পক্ষের নিকট থেকে অর্থ বাণিজ্যের করছে। এছাড়াও বাদী দুলালকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানোর কারণে চলতি মাসের ৬ তারিখে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা বাণিজ্যের কথা সিল্কসিটি নিউজকে অস্বীকার করে বলেন মামলাটির তদন্ত কাজ শেষ না হওয়ায় চার্জসিট দাখিল করতে  একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই আদালতে চার্জসিট দাখিল করা হবে।

স/শ