বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারার যোগিপাড়া ইউনিয়নের কাতিলা গ্রামের একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষরা ৩ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে। শনিবার দিবাগত রাতে কাতিলা গ্রামের আড়াই বিঘা জলা বিশিষ্ট ওই পুকুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা বিষ প্রয়োগের এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পর দিনে সকালে প্রতিপক্ষদের ৫/৬ জন প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের অন্যান্য সহযোগিদের লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ লুট করতে সাহায্য করে।
এ ঘটনায় কাতিলাগ্রামের সাধারন লোকজনের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় রবিবার যোগিপাড়ার ভাগনদি তদন্ত কেন্দ্রে পুকুরের লীজ গ্রহীতা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যোগিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন কাতিলা গ্রামে আড়াই বিঘা জলা বিশিষ্ট একটি খাস পুকুর মৎস জীবি সমবায় সমিতির মাধ্যমে লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি ওই পুকুরে বিভিন্ন পোনা জাতীয় প্রায় ৪০ হাজার মাছ ছাড়েন । এছাড়াও সিলভার কার্প, কাতলা ও রুই সহ বিভিন্ন জাতের বড় মাছ ছাড়েন যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা। গত শনিবার দিবাগত রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করা হয়। পর দিন সকালে ফারুক হোসেন লোক মারফত জানতে পারেন তার পুকুরে শত শত মাছ মরে ভেসে ওঠেছে এবং মাছ গুলো লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কাতিলা গ্রামের ওয়াহেদ তার ভাই রহমান সহ একই গ্রামের আবেদ আলী, সিদ্দিকুর রহমান বাগ, উজ্জল হোসেন সহ ৫/৬ জনের উপস্থিতিতে তাদের সহযোগিরা বস্তা ভরে মাছগুলো লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তিনি তাদের কাছে পুকুরে বিষ প্রয়োগ ও মাছ লুটের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তাকে প্রান নাশের হুমকি দিলে তিনি প্রাণ ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, সেখানে মাছ চাষ নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। এর আগেও একবার ওই পুকরে মাছ চাষ নিয়ে বিবাদ মিমাংসা করে দিয়েছি। আবারও কী কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসন করতে তাদেরকে থাকায় আসতে বরা হয়েছে। বিষয়টি জেনে শুনে মিমাংসার চেষ্টা করা হবে।
স/অ