বাগমারায় পলিথিন ব্যাগে সদ্যভুমিষ্ট নবজাতক উদ্ধার

বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারায় যোগীপাড়া ইউনিয়নের নাগপাড়া গ্রাম থেকে সদ্য ভুমিষ্ট এক নবজাতক উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নাগপাড়া গ্রামের আহাদ আলীর বাড়ির পার্শ্বে পলিথিন ব্যাগে কে বা কারা রেখে গেলে বাড়ির মালিকের ছেলে তা কুড়িয়ে পায়।

সকালে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরে সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের নাগপাড়া গ্রামের আহাদ আলীর বাড়ির পার্শ্বে কোন এক ব্যক্তি সদ্য ভুমিষ্ট নবজাতক মেয়ে শিশুকে পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফেলে যায়। নবজাতকটির কান্না শব্দে আব্দুল আহাদের ছেলে নজীর উদ্দীন বাইরে এসে দেখতে পান পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো একটি নবজাতক কান্নাকাটি করছে। তিনি কাছে গিয়ে ব্যাগটি খোলে দেখেন সদ্য ভুমিষ্ট একটি মেয়ে নবজাতক। তার নাড়ীটিও কাটা ছিলনা। তিনি সাথে সাথে বাড়ির লোকজনকে ডেকে তোলেন এবং নবজাতক শিশুটির নাড়ী কেটে দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত লোক শিশুটিকে দেখ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। এক দিনের বাচ্চা নিশ্চিত জেনে কাউকে না পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন সবাই। পরে স্থানীয়রা নিশ্চিত হন কোন অপায়ার হয়ত অপকর্মের ফসল নিশপাপ কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক। অনেকেই শিশুটিকে দত্ত্বক নেয়ার জন্য নজীর উদ্দীনের বাড়িতে ভিড় জমায়। আহাদের বাড়িতে দত্ত্বকদের ভিড় দেখে একই ইউনিয়নের ভটখালী এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে বাবুল খাঁ শিশুটিকে জোরপূর্বক তোলে নিয়ে চলে আসে। সে দত্ত্বকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার নেয়ার ধান্দা শুরু করে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়ে উপজেলা সমাজসেবা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনারস্থলে যান এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিলেই নবজাতকটির নিরাপত্তার সুব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম জানান, নবজাতকটির চিকিৎসা শেষে তাকে বেবী হোমে রাখা হবে।

স্থানীয় অনেকে শিশু নেয়ার আগ্রহীর বিষয়ে তিনি বলেন, নবজাতকের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে আদালতের নির্দেশক্রমে স্থানীয় কাউকে দত্ত্বক দেয়া যেতে পারে বলে তিনি জানান।

স/অ