বাগমারায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারী ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার(০৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাইফ আব্দুল্লাহর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন করেন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা যাতে শীতকালীন ফসল উৎপাদন করতে পারে সে জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করছে সরকার। বর্তমান সরকার বিনামূল্যে সার ও বিভিন্ন ফসলের বীজ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি ও কৃষক বান্ধব। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় কৃষকের পাশে রয়েছে। প্রতি বছর উপজেলার হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে শষ্যের বীজ প্রদান করে চলেছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও অংগ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক।

২০২১-২২ অর্থবছরে রবি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ৭৭০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫০০ জন কৃষকের মাঝে প্রতি বিঘার জন্য ২০ কেজি গম, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি, ২ হাজার ২০০ জন কৃষকের মাঝে ২ কেজি ভুট্টা বীজ এবং ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি, ৩ হাজার ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে বিঘা প্রতি ১ কেজি সরিষা এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি, ২০ জন কৃষকের মাঝে বিঘা প্রতি ১ কেজি সূর্যমুখী বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি, ১০০ জন চিনাবাদাম চাষীর মাঝে প্রতি বিঘায় ১০ কেজি বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি, ৫০ জন মসুর চাষীর জন্য ৫ কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি, ৫০ জন খেসারী চাষীর মাঝে বিঘা প্রতি ৮ কেজি বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি, ৩০০ জন কৃষকের মাঝে বিঘা প্রতি শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ ১ কেজি এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি ঈদুর মেরে ঈদুর নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জেএ/এফ