রাজত্ব হারালেন বাসুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান গত পাঁচ বছর ব্যক্তিগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবশেষে নির্বাচনে হেরে গিয়ে এলাকায় দাপটের রাজত্ব হারালেন।

 

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের ভবন দখল করে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিনত করা, চকিদারী ট্যাক্সের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আত্মসাৎ, সরকারী জায়গা দখল করে পুকুর খনন, এলাকায় পানি নিষ্কাশনের রাস্তায় পুকুর খনন করে জলাবদ্ধতা তৈরী করাসহ নানা অপকর্মের হোতা তিনি। এসব অপকর্মের কারণেই গত সোমবার নির্বাচনে তার ভরাডুবি হয় বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।
এদিকে নির্বাচনের দু’দিন পর বুধবার লুৎফর রহমানের লোকজন গাড়ী নিয়ে ইউপি ভবনে অবৈধভাবে রাখা মালামাল বের করতে গেলে এলাকাবাসী সরকারী মালামাল দাবি করে তা নিতে বাধা দেয়। তোপের মুখে তার লোকজন পিছু হটে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।
জানা গেছে, বাসুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার লুৎফর রহমান বিগত ৫ বছর ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দাপটের সাথে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে বাসুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদর দ্বীপনগরে সরকারী ভবন অবৈধভাবে দখল নিয়ে তার মাছচাষের মাছের খাদ্য, মেশিন, খইল জালসহ ব্যক্তিগত সকল জিনিস পত্র রাখে। এতে ওই এলাকায় এমনও সময় পরিষদ ব্যতিত এলাকায় দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী একাধিকবার এর প্রতিকার করার ব্যবস্থা নিতে তার ক্ষমতার অপব্যবহারে তা দুর করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন থেকে মৎস্য চাষে ঝুঁকেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক চেয়ারম্যান বেশ কয়েকটি পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন। সেই মাছের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন খাবার ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকটি কক্ষে রাখতেন। এতে করে সেই সকল কক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকান্ডে ব্যবহার না করে ব্যবহার করে এসেছেন নিজের চাষকৃত মাছের কাজে। পরিষদের কক্ষে মাছের জন্য রাখা সার ,খৈল,ফিডসহ অন্যান্য খাদ্যের গন্ধে পরিষদে বিভিন্ন কাজে আসা লোকজন পড়তেন সমস্যায়।
মাস্টার লুৎফর রহমান চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাননি ইউনিয়নবাসী। নির্বাচনে হেরে যেন সেই ক্ষমতার দম্ভ ভেঙ্গে চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে গেছে।

 

বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকটি কক্ষে অবৈধ ভাবে রাখা মাছের খাদ্য, মেশিন, জালসহ ব্যক্তিগত ওই সকল জিনিস পত্র নিতে লোক পাঠালে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। পরে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান প্রশাসনে সহযোগীতায় ওই সকল জিনিসপত্র উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিল্কসিটি নিউজকে জানান, পরিষদের কক্ষে চেয়ারম্যানের রাখা মালামাল নিতে আসলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় বাবে মিমাংসা করা হয়েছে।

স/শ