বাগমারায় অধিকাংশ এলাকার কোরবানীর পশুর চামড়া পচে নষ্ট

বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারায় কোরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন বিক্রেতারা। এবারে ছাগলের চামড়া ১০ টাকা গরুর চামড়া ৬০ টাকা, মহিষ ও ভেড়ার চামড়া বিক্রি নেই। বিগত দিনে ঈদের দিন বিকেল থেকে কাঁচা চামড়া পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য মওসুমী চামড়া ব্যবসায়ী কিনে কিন্তু এবারে গ্রামে সমাজে সমাজে চামড়া নিয়ে জমা থাকলে ক্রেতা দেখা দায় হয়ে পড়ে। চামড়া সিন্ডিকেটে কাঁচা চামড়া বিক্রি করতে না পেরে উপজেলার অধিকাংশ চমড়া পচে গেছে। এতে করে এতিম খানা, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, গরীব ও দুস্থ অসহায় পরিবারের মাথায় হাত উঠেছে।

জানা যায়, প্রতিবারে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু, খাশি, মহিষও ভেড়া কোরবানী দেয়া হয়। কোরবানীর পশুর চামড়া থেকে অর্জিত অর্থ হকদার হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ে মাদ্রাসা, এতিম খানা ও দুস্থ পরিবারদের দান করা হয়। এবারে সরকারী ভাবে ঢাকার বাইরে গরুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধরিণ করা হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। খাশির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা। কিন্তু বাগমারা এলাকায় বর্গফুটের হিসেব তো দুরের কথা কোন দামই মিলছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানের মত কোরবানীর পশুর চামড়া সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে এলাকায় চামড়া বাজার ধস নেমেছে। ক্রেতা সংকটে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে অধিকাংশ এলাকার চামড়া পচে নষ্ট হয়েছে।

বালানগর গ্রামের জামাতীয় সরদার মোফাজ্জল হোসেন জানান, কোরবানীর চামড়ার অর্থ হকদার এতিম ও অসাহয়রা এবারে চামড়ার চাহিদা না থাকায় চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। ঈদের দিনে প্রতিবারে মওসুমী চামড়া ব্যবসায়ী ভিড় করে। সন্ধ্যা পূর্বে কোন গ্রাহক মিলেনি। মাগরিবের নামাজ পার স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে চামড়া দিয়ে কিছু টাকা জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পরের দিনের চামড়া কেউ না নিলে বুধবার সকালে তা মাটির নীচে পুতে দেয়া হয়।

একই বাবে গ্রামের সরদার এরশাদ আলী বলেন, তিনি গরুর চামড়া ১০০ টাকা ও খাশির চামড়া ১০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।

মওসুমী চামড়া ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন, ময়েন উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতিবারে চামড়া ক্রয়ের আগে তারা বড় ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে আসতো। এবারে তারা চামড়ার চাহিদা নেই বলে টাকা দেননি। টাকা না পেয়ে চামড়া ক্রয়ে তাদের আগ্রহ নেই। তবে তারা নিজে নিজে তারা কম দামে কিছু চামড়া কিনে নাটোরে নিবেন বলে জানান।

এদিকে এতিম খানা, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, গরীব ও দুস্থ অসহায়রা প্রতিবারের ন্যায় কোরবানীর চামড়া টাকা অর্থিক সহায়তা নিতে আগে থেকে পাড়া-মহল্লায় চিঠি বিতরণ করেছে। কোরবানীর চামড়া বিক্রি সংকট ও দাম না পেয়ে পাড়া-মহল্লার প্রতিনিধিরা তাদেরকে কি ভাবে সহায়তা দিবেন এমনটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।