বাগমারার কোলাবিল মংস্য চাষ প্রকল্পের দীর্ঘ দিন দ্বন্দের অবসান

হাটগাঙ্গোপাড়া প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের কোলাবিল মংস্য চাষ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয় নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কারনে দুুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলা দ্বন্দের জেরে মামলাও হয়েছিল। যার স্বারক নং০৫.৪৩.৮১.১২.০০০.১৬.০০০৩.১৯-২৯৪ ও ৩২/১৯ নং অঃ ।

সেখানে ১ম পক্ষ/ মামলার বাদী ছিলেন, নরদাশ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মৃত বানী প্রাং এর ছেলে রফিক উদ্দিন প্রাং। এবং ২য় পক্ষ/ প্রতিবাদী একই গ্রামের মৃত মছির উদ্দিনের ছেলে মোজাফ্ফর হোসেন।

দীর্ঘ দিনের  দ্বন্দের ফলে এলাকায় পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য  নরদাশ ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরদাশ গ্রামের আলহাজ্ব ইব্রাহিম হোসেনের বাড়িতে আপোষের লক্ষ্যে  দু -পক্ষ কে ডেকে তাদের মধ্যে আপোষ নিস্পত্তি করা হয়।

এবং ১০০টাকার ৩টি স্ট্যাম্পে কোলাবিল মংস্য চাষ প্রকল্পের দুপক্ষের আপোষ নামা লিখা হয়, এবং সেখানে কিছু শর্ত থাকে যে ১/হিসাব অন্তে প্রতিবাদীর নিকট যে অর্থ ছিলো, তাহা সকল শেয়ারদারদের মধ্যে বন্টন করা হবে। ২/ হিসাব নিকাশ অন্তে যদি সেকেন্দার আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফার নিকট অর্থ পাওয়া যায় তাহলে উক্ত টাকা ও শেয়ারদারের মধ্যে বন্টন করে দিতে হবে। ৩/ উভয় পক্ষ দ্বয়ের মধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে যে সমস্ত মামলা হইয়াছিল তাহা নিজ খরচে উত্তোলন করে নিতে হবে, এবং যদি কোন পক্ষ এ আপোষ নামা অমান্য করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন,৪ নং ওয়ার্ড সদস্য রফিক উদ্দিন,ইব্রাহিম হোসেন,আজিবর রহমান,আলতাফ হোসেন,বেলাল হোসেন,সাহেব আলী,হুরমোতুল্লাহ প্রাং,মমিনুল ইসলাম,ওয়াজেদ আলী,শামসুল আলম সহ অত্র কোলাবিলের চার পাশের গ্রামের ব্যক্তিবর্গ।

স/অ