বাইডেনের কাছে নানামুখী প্রত্যাশা

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব কাজ করবেন, সেগুলোর পরিকল্পনা করছেন তিনি। যেসব বিষয় অগ্রাধিকার পাবে, সেসবও ঠিক করছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ভেঙে যাওয়া বৈশ্বিক সম্পর্কগুলো আবারো মূল্যায়ন করছেন জো বাইডেন। নিজের মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও চলতি সপ্তাহে নির্ধারণ করতে পারেন তিনি।

বাইডেন জয়ী হওয়ায় বিশ্বজুড়ে একটা স্বস্তির ভাব এসেছে। বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা, বাইডেনের হাতে ইতিবাচক বদল আসবে। অন্তত বিশ্বের অকল্যাণ হবে না।

২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বাইডেন। বাইডেন শিবির জানিয়েছে, প্রাণঘাতী করোনা মহামারী মোকাবিলার ব্যাপারে তিনি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেবেন। করোনা পরীক্ষা অনেক বাড়বে এবং মার্কিন নাগরিকদের মাস্ক পরতে বলা হবে।

করোনা মহামারীর কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা পদক্ষেপের পরিকল্পনা চলছে। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের বেশকিছু বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন জো বাইডেন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবারো যোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফিরবেন বাইডেন। কিছু মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করেছিলেন ট্রাম্প, তা বাতিল করা হবে।  ওবামার করা শরণার্থী-বিষয়ক নীতিমালা পুনরায় চালু করতে পারেন বাইডেন।

এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে দলমত নির্বিশেষে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নীতি রয়েছে।  ট্রাম্প একাই পুরো মধ্যপ্রাচ্যের চিত্র পাল্টে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এখন সবার ভাবনা বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি কী হবে? কী বদল আসবে সেখানে। সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনের পরবর্তী পদক্ষেপগুলোও খুব জটিল।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাবেন বাইডেন। তবে ইসরায়েলকে সমর্থন দেবেন তিনি। বাইডেন আরব দেশগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারেন। বাইডেনের বিজয়ে অবশ্য চিন্তায় পড়েছে সৌদির শাসকগোষ্ঠী। সবমিলিয়ে ভেবেচিন্তে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে পা বাড়াবেন বাইডেন।

 

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ