এ প্রসঙ্গে ভয়েস অব আমেরিকাকে ম্যাককাও বলেন বলেন, ‘যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছিলেন মার্কিন মুসলিম নেতারা। তাদের প্রত্যাশা ছিল— অন্তত রমজানের আগে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাইডেন প্রশাসন।’
এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, অন্তর্নিহিত ক্ষোভ এবং তার জেরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইফতার ও ঈদের নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের যে পরিকল্পনা মার্কিন মুসলিম নেতারা নিয়েছেন— সে সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসন ওয়াকিবহাল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন পিয়েরে জানিয়েছেন, চলতি বছর এখনও ইফতার ও ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজনের কোনো পরিকল্পনা চুড়ান্ত করেনি হোয়াইট হাউস।
প্রসঙ্গত, রমজান মাসে হোয়াইট হাউসে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে ইফতার ও ঈদের দিন তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই সংস্কৃতি প্রথম শুরু হয় ১৯৯৬ সালে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে।
পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সময়ও এই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাতে ছেদ পড়ে। ক্ষমতার চার বছরে হোয়াইট হাউসে মার্কিন মুসলিম নেতাদের সম্মানে কোনো ইফতার বা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশ দেননি তিনি।
২০১৮ এবং ২০১৯ সালে অবশ্য হোয়াইট হাউসে ইফতার ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান করেছিলেন ট্রাম্প। তবে সেই অনুষ্ঠান ছিল বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে।
২০২০ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বাইডেন ফের সেই সংস্কৃতি শুরু করেন; ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইফতার ও ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু চলতি বছর গাজায় যুদ্ধ এবং তাকে কেন্দ্র করে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি মার্কিন মুসলিমদের ক্ষোভ সব ওলট-পালট করে দিয়েছে।