বাংলা ভাইয়ের ক্যাডারদের মদদদাতা এমপি এনামুল-সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগমারার এমপি এনামুল হক বাংলা ভাইয়ের ক্যাডারদের মদদাতা বলেে অভিযোগ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করা হয়। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান, বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন টিপু, মুক্তিযোদ্ধা বিষায়ক সম্পাদক কমান্ডার আসর আলী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সদস্য আবদুর সালাম, যোগীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান। এতে তিনি বলেন, এমপি এনামুল হকের ছত্রছায়ায় জেএমবি চিহিৃত সন্ত্রাসী সর্বহারা ক্যার্ডাররা বাগমারায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে গঠন করেছে তার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। তার এই বাহিনীর মধ্যে তালিকাভূক্ত চরপন্থি দলের সদস্যরাও রয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী বাহিনীর ছয়জন মিলে পুলিশের এসআই আশরাফকে পিটিয়ে আহত করে। পরে হাবিবুর রহমানকে গুলিভর্তি অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ।

এছাড়া জেএমবি ক্যাডার মামুন মহুরী, আবদুস সাত্তার, লুৎফর রহমসানসহ কয়েকজনকে সাংসদ এনামুল ডিও দিয়ে কারাগার থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন। তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচনের মনোনয়নের বিনিময়ে তার স্ত্রীর নামে জমি লেখে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বাদ দিয়ে জেএমবি ও সর্বহারা সদস্য আবদুস সালামকে মনোনায়ন দিয়েছিলেন তিনি। সংসদ এনামুল তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পিএম শফিকুল ইসলামসহ উপজেলা আওয়ামীলীগে, যুবলীগের অনেক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।

অভিযৈাগে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরীর জন্য ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া খাদ্যগুদামের কৃষকদের নাম চাল, গমও আত্মসাৎ করে। সাংসদের একান্ত প্রেসসচিবকে দিয়ে স্কুলের প্রহরী নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। থানার মোড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করলেও সাংসদ এনামুলের জন্য স্থানীয় প্রসাশন নিরব ভূমিকা পালন করছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় সাংসদ এনামুলের বাহিনীর দ্বারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিতরা বাগমারা থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাছে গেলে কোন লাভ হয়না। কারণ ওসি সংসদ এনামুলের অনুগত হওয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনীর কিছুই হয় না।

সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ উঠে, সাংসদ এনামুল জেএমবি, সর্বহারা, জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের পূর্ণবাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার হাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নিরাপদ নায়। সাংসদ এনামুল ছাত্রজীবনের শিবিরের রাজনীতি করেছেন। তিনি বাগমারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের রাজনীতেতে নেমেছে। আগামীতে সাংসদ এনামুলকে বাগমারায় মনোনয় দিলে এই আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় সম্ভব নয়। তাই সংবাদ সম্মেলনের সাংসদ এনামুলকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া দাবি জানানো হয়।

স/আর