বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ বৈঠক বসবে সংসদীয় কমিটি

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এছাড়া বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে অপপ্রচার বন্ধে রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোসহ দূতাবাসের মাধ্যমে ওয়ার্কসপ ও সেমিনার আয়োজনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

রোববার (২৩ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আকস্মিক বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলার ‘অনানুষ্ঠানিক’ সফরের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম, উনি আনঅফিসিয়াল ভিজিটে আসলেন কেন? কূটনৈতিক সফর আনঅফিসিয়াল হয়? মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরকম সফর হয়। আগের শিডিউল ভিজিট না। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেয়া।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ এবং সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা হবে জানিয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনার জন্য আমরা পরবর্তী বৈঠকে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই দিন ক্লোজডোর মিটিং হবে। তবে বৈঠকের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। ওই বৈঠকে কারা উপস্থিতি থাকবেন আগেই নির্ধারণ করে দেয়া হবে।

এদিকে কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জার্মান বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উজবেকিস্তানের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে ফার্মাসিউটিক্যালস সামগ্রী রফতানি এবং তুলার পরিবর্তে সুতা আমদানির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশি মিশনসমূহে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদ্বয়ের কর্মপরিকল্পনা ও করণীয় এবং লেবাননের বৈরুতে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ ও তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক, কাজী নাবিল আমহেদ ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) অংশ নেন।