বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ৩০ কৃষকের মামলা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজকর্ম নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে জনস্বার্থ মামলা করেছেন ৩০ জন কৃষকসহ একটি মানবাধিকার সংগঠন। মামলার শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হতে পারে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস (এপিডিআর) এবং ফারাক্কা অঞ্চলের ৩০ জন ফলচাষির দায়ের করা মামলার পিটিশন গ্রহণ করেন।

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ওপর দিয়ে হাইটেনশন তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানোর জন্য ঝাড়খণ্ডে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প বানিয়েছে আদানিরা।

মুর্শিদাবাদের যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে এ হাইটেনশন তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেখানে আম ও লিচুর বাগান থাকায় প্রবল আপত্তি তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। সম্প্রতি এ নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের একাধিকবার দাঙ্গা হয়।

কৃষকদের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানায় বেলিয়া গ্রামের বেশিরভাগ চাষি আম ও লিচু চাষের ওপর নির্ভরশীল। এলাকায় যেদিকে খালি জমি পড়ে রয়েছে সেদিক দিয়ে হাইটেনশন তার গেলে তাতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। বাগানের ওপর দিয়ে তার গেলে ফসলের ক্ষতি হবে।

সেসব চাষিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এপিডিআর নামে পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সংগঠন। মমতার প্রশাসন করপোরেটদের জমি লুটের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। প্রশাসনকে বলে, কোনো কাজ না হওয়ায় এবার তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এখন দেখার আদালত এই মামলার কি নির্দেশ দেয়?

গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কে রয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি ও তার সংস্থা। আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা গত ২৩ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে দাবি করে যে আদানি গোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে শেয়ার ম্যানুপুলেশন ও অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করেছে। ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত হওয়ার পরই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর কমতে শুরু করে। ফলে আদানির মোট সম্পত্তির ওপর প্রভাবও পড়েছে। যদিও আদানি প্রকাশ্যে তার জবাব দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিশ্বের প্রথম ১০ ধনীর তালিকায় তার নাম নেই। ব্লুমবার্গ বিলিয়ানেয়ার সূচক অনুযায়ী আদানি এখন ১১ নম্বরে ধোনির তালিকায় এসে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ