বসে থেকে উঠে দাঁড়ালেই হঠাৎ ‘মাথা চক্কর’, অপেক্ষা করছে বড় বিপদ?

বসা থেকে বা হঠাৎ শোয়া অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ালে অনেকেরই মাথা ঘুরে যায় বা চক্কর দিয়ে ওঠে। এমন সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সমস্যা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয়। তাই এটি নিয়ে তেমন মাথাও ঘামান না অনেকেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই সমস্যাকে একেবারেই অবহেলা করা ঠিক নয়। কারণ এর থেকে ভবিষ্যতের জন্য বড় বিপদ অপেক্ষা করে থাকতে পারে। চলুন জেনে নিই এই মাথা ঘুরানোর আসল কারণ-

এই সমস্যার সঙ্গে নার্ভ বা স্নায়ুর সম্পর্ক আছে। অনেকেরই স্নায়ুর সমস্যার কারণে হঠাৎ শোয়া অবস্থা থেকে উঠলে বা বসা অবস্থা থেকে উঠলে মাথা ঘুরে যায়। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখে অন্ধকার দেখেন অনেকে। নার্ভের সমস্যা থেকেই এটি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এটিকে অবহেলা না করাই ভালো। আপনার যদি এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এখনই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ নার্ভের সমস্যা অবহেলা করলে তার থেকে ভবিষ্যতে বড় বিপদ হতে পারে।

অনেকের সঙ্গে আবার ব্লাড প্রেশারের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকে। রক্ত চাপ কম থাকলে অনেক সময় হুট করে উঠে দাঁড়ালে মাথায় সঠিক পরিমাণ রক্ত পৌঁছায় না। যার ফলে অনেকের এই মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে। তাই এই সমস্যা থাকলে প্রেশার চেক করিয়ে নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মতো প্রেশার স্বাভাবিক করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

ভার্টিগো (মাথা ঝিমঝিম করা বা মনে হয় চারপাশের সব কিছু ঘুরছে- এ রকম অসুস্থতার নাম ‘ভার্টিগো’ বা ‍ঘূর্ণি রোগ।) থাকলেও হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে উচ্চতা থেকে ভার্টিগো হয়। পাহাড়ে বেড়াতে গেলে অনেকের এই সমস্যা দেখা যায়। বেশি উঁচু বাড়িতে উঠলেও অনেকের এই সমস্যা হয়। অনেকের লিফটে হয়। এটিও একপ্রকার স্নায়ুর সমস্যা। এই ক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কোনো দুর্ঘটনার ফলে যদি কেউ দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান থাকেন, তাহলে সেই সময়টার জন্য মাথার স্নায়ুতন্ত্রে স্থায়ী সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই সমস্যা থেকেও এই রোগ দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁদের মধ্যে বসা বা শোওয়া অবস্থা থেকে হুট করে উঠে দাঁড়ালে মাথার ঘোরার সমস্যা আছে, তাঁদের ভবিষ্যতে ডিমেনশিয়া হতে পারে। অর্থাত্‍ সবকিছু ভুলে যাওয়ার অসুখ গ্রাস করতে পারে তাদের। এ ছাড়াও মাথায় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া, স্নায়ুর সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই যদি এই লক্ষণ থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ