‘বল বিকৃতি’ নিয়ে মাশরাফি–রুবেলরা যা বললেন…

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

  • অস্ট্রেলিয়া দলের বল বিকৃতি নিয়ে তুমুল হইচই হচ্ছে ক্রিকেট দুনিয়ায়
  •  বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা আলোড়িত করছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরও
  •  বাংলাদেশের পেসাররা কী ভাবছেন এ ঘটনায়

কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলীয় দলের বল বিকৃতির (টেম্পারিং) ঘটনায় তোলপাড় চলছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল বিকৃতির চেষ্টায় তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে। ক্রিকেটে এমন ঘটনা অতীতে যে ঘটেনি তা নয়, তারপরেও ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছে। বল বিকৃতির এই ঘটনা আলোড়িত করছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও। বল বিকৃতি যেহেতু পেসারদের সহায়তা করতেই হয়, তাই আমাদের পেসাররা নিশ্চয়ই এটি নিয়ে ভাবছেন। সেই ভাবনায় উঠে এসেছে বল বিকৃতির বিপক্ষে তাদের সচেতনতা আর যেকোনো ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থান।

বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য খুব একটা অবাক হননি অস্ট্রেলিয়ার বল বিকৃত করার ঘটনায়, ‘অস্ট্রেলিয়ার দলকে আগে কখনো করতে দেখা যায়নি, সেটি বলা অবশ্য কঠিন। এবার হয়তো ধরা পড়েছে বলে অনেক হইচই হচ্ছে।’ বাংলাদেশের পেসাররা কতটা সচেতন বল টেম্পারিং নিয়ে , এ প্রশ্নে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের যুক্তি, যেটি কখনো বাংলাদেশ করেই না, সেটি নিয়ে বাড়তি চিন্তা করে লাভ নেই, ‘আমাদের বোলাররা এগুলো কখনো করে না। যেহেতু এটা আমরা কেউ করি না, আলাদাভাবে এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। ইতিবাচক দিক এটিই, আমাদের খেলোয়াড়দের এ ধরনের কিছু করার মানসিকতাই নেই।’
রিভার্স সুইং করাতেই বল টেম্পারিংয়ের মতো নেতিবাচক উপায়ের শরণ নেওয়া। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে রিভার্স সুইংয়ে যাঁকে এগিয়ে রাখা যায়, রুবেল হোসেন ভীষণ অবাকই হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের এমন কাণ্ডে, ‘রিভার্স সুইংয়ে সহজাত কিছু বিষয় থাকে। সাইড আর্ম অ্যাকশনের কারণে অনেকের রিভার্স সুইং ভালো হয়। অনেক সময় বল একটু ঘষলেই রিভার্স সুইং হয়। আবার অনেকে জোর করে রিভার্স সুইং করাতে চায়। যেটা অস্ট্রেলিয়া করেছে। ওর বল অন্যভাবে ঘষার চেষ্টা করেছে। বল বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এগুলো করে কখনোই ভালো কিছু হয় না। এখন ওরা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। এটা দেশের বদনাম, খেলোয়াড়ের বদনাম। ওদের এটা করতে দেখে খুবই অবাক হয়েছি। আমরা এটা নিয়ে সব সময়ই সচেতন। কখনো এটা করিনি, করবও না আশা করি।’

বাংলাদেশ দলের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও রুবেলের মতোই অবাক। এ ধরনের ঘটনা খেলাটার জন্য কতটা চেতনাবিরোধী, সেটিই আজ বলছিলেন বাংলাদেশ দলের তরুণ পেসার, ‘বল যখন একদিকে খসখসে হয়, তখন সেটা রিভার্স করে। নখ মেরে, সিরিশ কাগজ দিয়ে বল বিকৃত করে বল রিভার্স করালে ব্যাটসম্যানের জন্য সেটা খেলা অনেক কঠিন। আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনেক ক্যামেরার মধ্যে এটা করা কঠিন। এটা ঘরোয়া ক্রিকেটেও করা উচিত নয়। যেহেতু আন্তর্জাতিক ম্যাচে ধরা খাওয়া লাগে। অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে এটা আশা করা যায় না। দুঃখজনক। ক্রিকেটে তারা শীর্ষ দলের একটা। অনেকে তাদের অনুসরণ করে। এটা ক্রিকেট চেতনার সঙ্গে যায় না। এ থেকে সবাইকেই শিক্ষা নিতে হবে। দুই নম্বরি করে দলকে সহায়তা করার মধ্যে গৌরবের কিছু নেই। ক্রিকেট হচ্ছে ভদ্রলোকের খেলা, এখানে অসৎ উপায়ে কিছু করা ঠিক নয়।’

প্রথম আলো