বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে চাকরে পরিণত করেছে: মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বৃহস্পতিবার ছিল জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট মামলার বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানী। এ জন্য রাজশাহী নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সকাল ৯টা থেকে মহানগর ও জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল সহকারে এসে অফিসরে সামনে জড়ো হন এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। প্রদান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু। এসময় তিনি বলেন, বেগম জিয়ার নেতৃত্বে দেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন স্বাধিত হয়। দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতেন। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের মানুষের উপর নেমে এসেছে নির্যাতন।

মিনু বলেন, জোর করে ভোট জালিয়াতি, ডাকাতি ও রাতের অন্ধকারে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে দিয়ে ভোট নিয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্র্রী হয়েছেন। তাঁর দল ক্ষমতায় এসেছে। এখন দেশে চলছে খুন, গুম, ধর্ষণ, দুর্নীতি, মিথ্যা মামলা ও বিরোধী দলকে দমনের কাজ। এই সরকার বাংলাদেশের মানুষকে চাকরে পরিণত করেছে।

মিনু আরো বলেন, পূর্বের সেই রাজতন্ত্রের ন্যায় প্রজাদের নির্যাতন করছে এ সরকার। মাদক দিয়ে দেশকে ভরিয়ে দিয়েছে। মসজিদের শহর ঢাকাকে জুয়ার শহরে পরিণত করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। এছাড়াও দেশেও টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অথচ বেগম জিয়া কোন প্রকার দুর্নীতি না করেও জেল খাটছেন। তিনি অসুস্থ হওয়া সত্বেও এই সরকার বেগম জিয়াকে জামিন দিচ্ছেন না। আজ ছিল তাঁর জামিনের শুনানী। কিন্তু আওয়ামী পন্থী বিচারক তাঁকে জামিন না দিয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। বেগম জিয়াকে জেলের মধ্যে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এই সরকার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন ও সদস্য সহিদুন্নাহার কাজি হেনা।

সমাবেশে মহানগর জেলা বিএনপি’র সদস্য সৈয়দ মহসিন আলী, মিজানুর রহমান মিজান, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, জেলা বিএনপি’র সদস্য আনোয়ার হোসেন উজ্জল, তাজমুল তান টুটুল, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু ও মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, বর্তমান সভাপতি মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুরাজ আলী, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি উপস্থিত ছিলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা বেগম, অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সামসাদ বেগম মিতালী, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক সামসুন নাহার, নুরুন্নাহার, মুসলেমা বেলী, গুলশান আরা মমতা, রোজি ও জরিনা এবং মহিলা নেত্রী রীতা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ রাহী ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুমসহ মহানগর, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।

 

স/শা