বর্ণিল আয়োজনে রাজশাহীতে বসন্ত বরণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে বর্ণিল আয়োজনে বরণ করা হলো ঋতু রাজ বসস্তকে। বসন্ত বরণ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই নেয়া হয় নানা প্রস্ততি। স্কুল, কলেজ বিনোদন কেন্দ্রগুলোও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। নব বসন্তকে বরণ করে নিতে এবার রাজশাহীতে ব্যতিক্রম আয়োজন ছিল।

সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ কওে নিতে রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি রাজশাহী নগরীর জিরো পয়েন্ট হয়ে আলুপট্টি মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। বিশাল এই শোভা যাত্রার নেতৃত্ব দেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক।

র‌্যালীতে অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ছিলেন বর্ণিল বাসন্তি সাজে। বাসন্তী রঙের শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোপায় ফুল অথবা রিং জড়িয়ে শোভা যাত্রায় অংশ নেয় তরুণীর দল। প্রকৃতির সঙ্গে নতুন সাজে সেজেছে তারা। তরুণরাও সেজেছে তাদের আপন রঙে। তাদের উচ্ছ্বাস মনে করিয়ে দেয় কবির কবিতার লাইন ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত’। রাজশাহী কলেজের বিএনসিসির সজ্জিত ব্যান্ড দল এই শোভা যাত্রার সৌন্দর্য্য বহুগুন বাড়িয়ে দেয়।

কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বসন্ত আর ভালোবাসা দিবস দুটি মিলে গেছে। বাঙ্গালীর যে সংস্কৃতি তা কাজে লাগিয়ে এবং প্রকৃতির রঙ বদলের সাথে ফুলে ফুলে ছড়িয়ে গেছে ফাগুনের উন্মাদনা। বসন্তের শুভ বার্তা বাংলাদেশর মানুষের জন্যও মঙ্গল বয়ে আসুক এই কামনা করেন তারা।

অপর দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসন ভবনের সামনে বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা নেচে-গেয়ে স্বাগত জানায় ঋতুরাজ বসন্তকে। করোনা মহামারীর জন্য আগের বছরগুলোতে বসন্ত উৎসব পালন করতে না পারার আক্ষেপ মেটাতে এবার নির্দিষ্ট স্থানে বন্দি না থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে উৎসব আয়োজন করেছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিকে আগামীবার থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের সব বিভাগ কে সাথে নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বসন্ত উৎসব পালনের কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

এদিকে বসন্ত বরণ ও বিশ^ ভালবাসা দিবস এক দিনে হওয়ায় মানুষের মধ্যে আনন্দ একটু বেশি ছিল। সকাল থেকেই লোকজনদের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে দেখা যায়। বিশেষ করে সকালের দিকে রাজশাহীর পদ্মাধারে লোকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মত। তবে বিকেল পড়ার পর থেকে পদ্মা ধার বিনোদন প্রেমিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। কেউ বন্ধু নিয়ে আবার কেউ বান্ধবি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন পদ্মার ধারসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়াও অনেকেই স্বপরিবারে একটু বিনোদনের জন্য হাজির হয়েছেন পদ্মার পাড়ে। বসন্ত বরণ ও বিশ^ ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে দিনভর বিনোদন লোকজন হৈহুল্লোড় আনন্দে দিন পার করেছেন।