বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা-মধু নেওয়ার অভিযোগ, ২৫ মাঝি ও মৌয়াল আটক

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সুন্দরবনের গাড়ল নদীর বাওন এলাকায় মধু সংগ্রহ করার সময় চার মাঝি ও ২১ মৌয়ালকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হলদেবুনিয়া টহল ফাঁড়ির বন বিভাগের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে তিনটি ডিঙি নৌকা ও তিন কেজি মধু জব্দ করা হয়। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃত নৌকার মাঝি আব্দুর রাজ্জাক ও শহীদুল ইসলাম জানান, তারাসহ হযরত শেখ ও আব্দুস সামাদ তিনটি নৌকায় চারজন মাঝি ১এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনি বন অফিস থেকে ২১জন মৌয়াল অনুমতি নিয়ে পরদিন সন্ধ্যায় গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা ও ডুমুরিয়া এলাকা থেকে বেড়িয়ে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে সুন্দরবনের কাছিকাটার ডান পাশে ছাড়ক নদী এলাকায় পৌঁছান। ৫এপ্রিল জোয়ারের টানে বাঁশের খুঁটি উঠে নৌকা তিনটি সুন্দরবনের ভারতের অংশে উত্তর চোরা ও দক্ষিণ চোরার চরে লেগে যায়। পরদিন ৬ এপ্রিল তারা কলা গাছের ভেলা সংগ্রহ করে ২৫জন হলদেবুনিয়া অভয়ারণ্য কেন্দ্রে পৌঁছান। সেখানকার কর্মকর্তাকে বিস্তারিত জানানো হলে হলদেবুনিয়া কেন্দ্রের সেকেন্ড অফিসার রবিউল ইসলাম তাদেরকে তিনটি নৌকাসহ গাবুরার দৃষ্টিনন্দন এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার শর্তে ৬০ হাজার টাকা চান। এক পর্যায়ে তারা ৪৫ হাজার টাকা দেন। তিনটি নৌকা ও বনকর্মীরা ফিরিয়ে আনেন। নৌকায় থাকা তিনটি ড্রামে ১৩০ কেজির বেশি মধু ছিল। এরপরও তাদের সংগৃহিত ১৩০ কেজি মধু তিন কেজি দেখিয়ে ও ৪৫ হাজার টাকা ফেরত না দিয়ে তাদেরকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের হলদেবুনিয়া অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকজন ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে অভয়ারণ্য হলদেবুনিয়া গাড়ল নদীর বাওন এলাকায় মধু আহরণের জন্য ঘোরাফেরা করছিলেন। পরে তাদেরকে আটক করে মামলা দায়েরের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মৌয়ালদের ৪৫ হাজার টাকা ও ১২৭ কেজি মধু নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। সূত্র: কালের কণ্ঠ