নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘায় বন্যার পানিবন্দিদের জন্য ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া পানি উঠার কারণে চরের ১১টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার লক্ষীনগর, পলাশি ফতেপুর, চরকালিদাসখালী, পশ্চিম চরকালিদাসখালী, কালিদাসখালী, কাদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাদিরপুর, কালিদাসখালী, চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর, খানপুর জেপি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গৃহহারা ও ক্ষতিগ্রস্তরা এ সব প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিচ্ছেন। চকরাজাপুর ইউনিয়নে বিস্তৃীর্ণ চরাঞ্চলে অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানি বৃদ্ধিতে আকস্মিক প্লাবণ দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২ হাজার পরিবার। পদ্মার ভাঙনে গৃহহারা হয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার। পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চর ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে চরগুলো। ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে। গৃহহারা পরিবারগুলো ঘর-বাড়ি ও সম্পদ হারিয়ে গবাদি পশুসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, বন্যার্তদের জন্য ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া চরের ১১টি স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
স/আ