বন্ধু তুমি, শত্রু তুমি…

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

লংকানরা বাংলাদেশের বন্ধু না শত্রু? নিদাহাস ট্রফি শেষে অবধারিতভাবে এ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। বিশেষ করে ফাইনালে ভারতের হয়ে তাদের গলা ফাটানো, টাইগারদের উদ্দেশে বোতল ছুড়ে মারা এবং সাকিবদের দুয়োধ্বনির পর প্রশ্নটি স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই সংবাদ সম্মেলনেও একটু এদিক-ওদিক করে সাকিব আল হাসানের কাছে প্রশ্নটি রাখা হয়। জানতে চাওয়া হয় স্বাগতিকদের এমন আচরণে কতটা অবাক? অবশ্য বুদ্ধিমত্তার সঙ্গেই উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, এ নিয়ে সে রকম বলার কিছু নেই। তারা তাদের কাজ করবে, করেছে। তবে এ নিয়ে আমরা কখনও চিন্তা করি না। বেশি মন্তব্যও করতে চাচ্ছি না।

তবে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সাকিব যা জানালেন, তাতে ভ্রু কুঁচকে যেতে পারে ক্রিকেটপ্রেমীদের, লংকানদের কাছ থেকে এ রকম আচরণ পাওয়া আবার নতুন কী? এখানে যতবার খেলতে এসেছি, ততবারই প্রচুর গালি হজম করেছি। দর্শকদের কথা বাদই দিলাম, মাঠেও এর কবলে পড়েছি। আগে আমাদের সবচেয়ে বেশি উত্ত্যক্ত করেছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে।

দিন বদলেছে, ক্রিকেটে অগ্রগতি হয়েছে। আগে শ্রীলংকানদের সব গালি হজম করলেও এখন ফিরিয়ে দেয় টাইগাররা। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জানালেন, অতীতে তারা গালি দিলে মুখ বুজে সহ্য করতাম, এখন আর করি না। সঙ্গে সঙ্গে তা ফিরিয়ে দিই।

ময়দানি লড়াইয়ে স্লেজিং হতেই পারে! ম্যাচের আগে কথার উত্তাপ ছড়াতেই পারে। তবে এবার মাঠের বাইরে যা ঘটেছে তা ছাড়িয়ে গেছে আগের সব কিছুকেই। হঠাৎই ‘শত্রু’ বনে গেছেন লংকানরা।

১৬ মার্চ নাটকীয় জয়ের দিন লংকানদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান সাকিব-নুরুলরা। বাইরেবাংলাদেশিসমর্থকদেরপেটানস্বাগতিক সমর্থকরা।হয়তো সেই সূত্র ধরেআবেগের বশীকরণ হয়েই টাইগারদের শত্রু এখন লংকানরা। অবশ্য কয়েক ম্যাচ ধরেই দুদলের খেলোয়াড়, সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই চলে আসছে।

তবে একে নেহাতই মাঠের ব্যাপার বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। গত ম্যাচে লংকানদের সঙ্গে টাইগারদের ঝামেলার পর তিনি বলেন, শ্রীলংকা বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। তাদের সঙ্গে সবসময় আমাদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, আছে-থাকবে। তারা আমাদের কাছের বন্ধু। এর রেশ দুই দেশের বোর্ডের সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।’

তা হলে কী শ্রীলংকাকে বন্ধু ও শত্রু- দুভাবেই ধরে নেয়া যায়?

যুগান্তর