বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০১৯ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বড় বিপদের ‘লক্ষণ’? উড়ে গেল পুরী মন্দিরের সেই পতাকা!

Paris
মে ২, ২০১৯ ৮:১৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কোনও মারাত্মক বিপর্যয় নিয়ে কি ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী? এমন আশঙ্কার মূলে রয়েছে একটিই কারণ। এখনও পর্যন্ত ফণীর দাপট শুরু না হলেও সামান্য ঝোড়ো হাওয়াতেই উড়ে চলে গেল ভারতের উড়্যিষ্যার পুরী জগন্নাথ মন্দিরের সেই বিখ্যাত পতাকা! যা অত্যন্ত অশুভ লক্ষণ বলেই মনে করছেন পুরী মন্দিরের পান্ডা থেকে শুরু করে ভক্তরা-সকলেই।

বহু পুরনো রীতি। ভক্তদের কাছে পুরী মন্দিরের এই পতাকা অত্যন্ত শুভ বলেই পরিচিত। সেই পতাকার মাপ এতদিন ছিল ১২ হাত। বিরাট আকারের সেই পতাকাই মন্দির চূড়ায় পতপত করে উড়ত। কিন্তু ফণী আসার পূর্বাভাস আসতেই প্রশাসনের নির্দেশে সেই পতাকার মাপ ১২ থেকে কমিয়ে ৫ হাত অর্থাৎ ১২ ফুট করা হয়। বুধবারই তা লাগানো হয় মন্দিরের চূড়ায়।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটে বিপর্যয়। সকাল ৮.৩৫ মিনিটে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে সেই পতাকা উড়ে যায়। যা অত্যন্ত অশুভ লক্ষণ বলেই মনে করছেন সকলে। তবে, আজই বিকেলে ওই পতাকা আবার লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে মন্দির সূত্রে।

ফণীর কারণে ইতোমধ্যেই পুরী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পুরীর খুব কাছেই এখন অবস্থান করছে ব্যাপক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী।

প্রসঙ্গত, এই ঐতিহাসিক জগন্নাথ মন্দির ১০৭৮ সালে তৈরি হয়। ১১৭৪ সালে তা মেরামতির পর আজকের জগন্নাথ মন্দিরর রূপ ধারণ করে।

এই পুরী জগন্নাথ মন্দিরের কিছু অলৌকিক বৈশিষ্ট্য আছে বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের।মন্দিরের চূড়ায় যে পতাকাটি লাগানো রয়েছে তা সবসময় হাওয়ার বিপরীত দিকে ওড়ে।

সাধারণত দিনের বেলায় হাওয়া সমুদ্রের দিক থেকে তটের দিকে আসে। আর সন্ধ্যের সময় তটের দিক থেকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া চলে। কিন্তু পুরীর ক্ষেত্রে তা ঠিক উল্টো। সকাল তটের দিক থেকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া চলে, এবং সন্ধ্যায় সমুদ্রের দিকে থেকে তটের দিকে হাওয়া বয়।

কোনও পাখি বা বিমান পুরী মন্দিরের উপর দিয়ে উড়তে পারে না।মন্দিরের সবচেয়ে বড় প্রাসাদটির ছায়া দিনের যে কোনও সময় অদৃশ্য থাকে।

মন্দিরের ভিতরে সিংহদ্বারের মন্দিরে প্রবেশ করার পর প্রথম সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের আওয়াজ আর শুনতে পারবেন না। কিন্তু ওই সিঁড়িটি টপকে গেলে আবার সমুদ্রের শব্দ শুনতে পাবেন। সন্ধ্যাবেলায় এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক