বছরের মাঝে এসে টাইগারদের সফলতা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে দারুণ এক সমাপ্তি দিয়ে সফর শেষ করলো বাংলাদেশ। রঙিন পোশাকে কত দুর্দান্তই না দেখা গেল তাদের। ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রত্যাশা আগেই ছিল, তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতাটা যেন অবিশ্বাস্য কিছুই। কেননা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে শুধুমাত্র সেরাই না, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও।

চলতি বছর জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করে বাংলাদেশ। ত্রিদেশিয় ওয়ানডে সিরিজে অন্য দুই দল ছিল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। এই সিরিজে পর পর তিন ম্যাচে দাপট দেখিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচের আগেই খেই হারিয়ে ফেলে সাকিব-তামিমরা। নিয়মরক্ষার ম্যাচটিতে ৮২ রানে অলআউট হয়ে লজ্জাই পায় তারা। আর ফাইনালের মঞ্চে লঙ্কানদের ২২১ রানে গুটিয়ে দিয়েও হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের দল।

ত্রিদেশিয় সিরিজের পর দুই টেস্টের শুরুতে চট্টগ্রামে প্রথমটি ড্র করে সদ্যই সাবেক হওয়া কোচ হাথুরুসিংহের দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কিন্তু ঢাকা টেস্টে বড় ব্যবধানের হারে সিরিজ খোয়া যায়। পরে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘরের মাঠেই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ।.মার্চে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে তাদেরই আমন্ত্রণে ট-২০ নিদাহাস ট্রফি খেলতে যায় বাংলাদেশ। ত্রিদেশিয় সিরিজটির অন্য দল ছিল শক্তিশালী ভারত। তবে এই টুর্নামেন্টে ফাইনালে হারের আরেক কষ্ট নিয়েই শেষ করতে হয়। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টে লঙ্কানদের অবশ্য দুটি ম্যাচ হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নেয় টাইগাররা। তবে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও শেষ বলে হার মানতে হয়।

নিদাহাসের পর বিশ্রাম নিয়ে ভারতের মাটিতে আফগানিস্থানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলে আসে বাংলাদেশ। তবে তিন ম্যাচের এই সিরিজ ভুলে গেলেই ভালো। কেননা ক্রিকেটের নব্য শক্তির দলটির বিপক্ষে যে হোয়াইটওয়াশই হলো তারা।

অবশেষে জুলাই-আগস্ট ক্যারিবীয় সফরে সুখবার্তা পেল বাংলাদেশ। যদিও শুরুটা সেই টেস্টের হতাশা নিয়ে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে তো ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ে। আর দুই ম্যাচের টেস্টে বাজে হারেই শেষ হয়।

টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে যোগ দেন বাংলাদেশের দিন বদলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি দলে আসার পর থেকেই যেন চিত্র বদলাতে থাকে। সাদা পোশাকের হতাশা ভুলে প্রথম ওয়ানডেতে টাইগাররা দুর্দান্ত জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৩ রানে হারলেও শেষ ওডিআই জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়।

মাশরাফির ওয়ানডের অনুপ্রেরণা টি-টোয়েন্টিতে ধরে রাখেন এই ফরম্যাটের দলনেতা সাকিব আল হাসান। হার দিয়ে শুরু হলেও তিন ম্যাচের এই সিরিজের শেষ দুটি জিতে ক্যারিবিয়ান মাটিতে অনন্য নজিরই স্থাপন করে বাংলাদেশ।