সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
আগামী শুক্রবার দেশের প্রথম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের সূর্যগ্রহণ টেস্ট হবে। এটিই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পরীক্ষার শেষ ধাপ।
এর আগের সব পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের পারফমেন্স ছিল দারুণ। তবে এখন বাকি সব কিছু নির্ভর করছে শেষ এ পরীক্ষার ওপর।
সূর্যগ্রহণ টেস্ট হলো সূর্যগ্রহণের সময় স্যাটেলাইটটি কেমন পারফমেন্স করে সেটা দেখার পরীক্ষা।
এমনিতে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট হওয়ায় পৃথিবীর সঙ্গে নিজের অবস্থান ঠিক রেখে সমান গতিতে ঘুরবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ফলে ১২ ঘন্টা স্যাটেলাইটটি আলো পেলেও বাকি ১২ ঘন্টা তাকে জ্বালানির যোগান দিচ্ছে কয়েকটি সোলার চার্জারের শক্তি।
তবে সূর্যগ্রহণের সময় এক টানা ৩৬ ঘন্টা স্যাটেলাইটটি সূর্যের কোনো আলো পাবে না। এত দীর্ঘসময় সূর্যের আলো ছাড়া এটি ঠিকঠাকভাবে কাজ করলে নতুন এ স্যাটেলাইট সব পরীক্ষায় পাশ করে যাবে।
এরপর এসব পরীক্ষার তথ্য যাচাই বাছাই শেষে এটি দ্রুত হস্তান্তর করা হবে বাংলাদেশ কমিউনেকশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটিডের (বিসিএসসিএল) কাছে।
আর এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হতে সব মিলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানিয়েছেন, স্যাটেলাইটটির নির্মাতা কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস এর অবস্থান ও পারফমেন্স সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া সব তথ্য উপাত্ত থেকে তারা খুবই খুশী।
এর আগে ১১ মে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হয়। নিজ কক্ষপথ ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রিতে পৌঁছানো পর এটির ইন অরবিট টেস্ট (আইওটি) শুরু হয়েছিল। জুনের মাঝামাঝি এসে জানা যায় আইওটিতে খুবই ভালো অবস্থানে আছে বঙ্গবন্ধু-১।
এরপর চলতি মাসের শুরুতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চাম্পিয়নশিপ সরাসরি সম্প্রচার করার পরীক্ষাতেও এটি সফলতা দেখিয়েছে।