বঙ্গবন্ধুর শারীরিক গঠন পরিমাপ করা যায় কিন্তু ব্যাক্তিত্ব মাপা যায়না

ইবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর শারীরিক গঠন পরিমাপ করা যায়, কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন, তাঁর এ ব্যাক্তিত্ব পরিমাপ করা যায় না। তাঁকে নিয়ে আলোচনা করা খুব কঠিন।

প্রফেসর মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের অনেক শ্রদ্ধা করতেন, শুধু তিনি নয় তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও শিক্ষকদের শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে ৩ বছর তিনি কাজ করার সময় পেয়েছেন। এত অল্প সময়েও তিনি দেশের শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। তাঁর সময়কালে ২৫২টি আইন সংসদে পাস করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্বশাসন আইন পাস করান। বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বার্থে তিনি ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করেন।

তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে শিক্ষিত মানুষ দরকার। এজন্য তিনি শিক্ষার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ ও লালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধরু অসমাপ্ত জীবনীসহ বঙ্গবন্ধুর উপর লেখা বই পড়ে বঙ্গবন্ধুকে জানতে ও চিনতে হবে। তাহলে একদিন আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পূর্ণাঙ্গভাবে গড়তে পারবো।

শনিবার বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোকদিবস-২০১৭ আয়োজিত “বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে জাতির পিতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এসব কথা বলেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী’র সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা।

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশারাখি এবিষয়ে ইউজিসির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর দেখা যায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে প্রায় ৬০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সেসময় এ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুণরায় চালু করার ব্যবস্থা করেছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান এবং আইন ও মুসিলম বিধান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরমিন খাতুন।

সভার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

স/শ