বঙ্গবন্ধুর বাংলায় মাথা উঁচু করেই কথা বলব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার জাতিসত্তা একটাই। প্রধানমন্ত্রীর জন্য জীবন দিতে একটুও চিন্তা করব না। আমি চুরি, বাটপারি করি না। এদেশের মালিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যা এরপরেই মুক্তিযোদ্ধারা। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে জন্মেছি। বঙ্গবন্ধুর কথা বলে যাব। আমি মাথা উঁচু করেই কথা বলব।

রবিবার রাতে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী মা। আমার কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এরপরে বঙ্গবন্ধু কন্যা। এরপরে আর কেউ নেই। খুনি জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখান থেকে আমাদের বাঁচিয়েছেন, পুনর্জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এই বাংলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা উচ্চারণ করার সাহস আর কারো নেই।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি উপলব্ধি করি, আমার আবেগটা কোথায়, আমার জিদ কোথায়? কেউ কথা বলে না। সবাই দুর্নীতি লুটপাট করবো। আর আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে সারা পৃথিবীতে বাড়ি না বানালে নেতাদের প্রেস্টিজ থাকে না। আমি তাদের ঘৃণা করি। লজ্জা হয়। এগুলা করার জন্য রাজনীতি করার দরকার নেই। চুরি, লুটপাট, দুর্নীতি করবেন, মানি লন্ডারিং করবেন এই দেশে এসব চলবে না। করতে দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।

ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বাংলার মাটিতে আসার পরে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ১৯৯৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। বারবার মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও তিনি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেছেন। আমরা আরো ১০-১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারবো। সময় আসলে প্রধানমন্ত্রী ওদেরকে লাথি মেরে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেবেন।

ডা. মুরাদ হাসান বলেন, এই বাংলাদেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা। কারো গোলামী করার জন্য আমরা জন্মাইনি। গোলামী বঙ্গবন্ধু মানতেন না। এটা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর টাকা ছিল না। ৩২ নাম্বার বাড়িও নিজে করেন নাই। তাকে চুরি, লুটপাট করতে হয়নি। আমাদের নেতারা দুই দিনের বৈরাগী। সব হাইব্রিড, কাউয়া, চোর, বাটপার, টাউট আমরা ওদেরকে চিনি।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন