বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্ব নিয়ে তর্কে জড়ালেন কাদের সিদ্দিকী ও বিচারপতি মানিক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একক নেতৃত্বের প্রশ্নে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য তুলে ধরেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২-৭৫’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের বংশধরদের সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রশ্নে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো স্থান নেই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, রাজাকারদের বংশধরদের সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এটা হয়েছে। জার্মানিতে নাৎসি বাহিনীর সদস্যদের বংশধররা এখনো চাকরি পায় না। বাংলাদেশেও এটা করা জরুরি।

বিচারপতি মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। অবিসংবাদিত এই নেতাকে নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, সারা বিশ্বের নেতা ছিলেন। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে লড়াই করে তিনি বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন।

এরপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, এটা ঠিক না। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অনেকেই ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা দেশে সকলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। সকলের মধ্যেই শেখ মুজিব আশ্রয় নিয়েছিলেন। শেখ মুজিব মানে বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। আমরাই তাকে বিতর্কিত করে ফেলেছি। ‘

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘রাজকারের বংশধরদের চাকরিতে নিষিদ্ধের প্রশ্নে আমি একমত নই। স্বাধীন দেশে যাদের জন্ম হয়েছে তারা অবশ্যই সম-অধিকার পাাবে। বঙ্গবন্ধু যে রাজাকারদের ক্ষমা করেছিলেন আমরা কোনোভাবে তাদের শাস্তি দিতে পারি না। ‘ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন সংসদ সদস্য এম শফিকুর রহমান, সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) মো. হারুণ-অর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধ মোস্তফা মহসীন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, কমান্ডার শাহজাহান মৃধা বেনু প্রমুখ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ