বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে পাঁচজনের মৃত্যু

বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে পাঁচজনের মৃত্যু ও তিনজন অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।রোববার রাতে শহরের পুরান বগুড়া, কালিতলা ও ফুলবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  অসুস্থ তিনজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে একজন পালিয়ে গেছেন।

তবে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, তারা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকার লোকমানের ছেলে রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৪০) ও প্রেমনাথের ছেলে নিরঞ্জন সুমন (৩৮), কাটনারপাড়া টোকাপট্টির কুলি শ্রমিক সাজু মিয়া (৫৫), বাবুর্চি মোজাহার আলী (৬৫) ও ফুলবাড়ি সরকারপাড়ার আবদুল জলিল (৬৫)।

বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, মদপানে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  প্রতিটি বাড়িতে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার রাতে শহরের তিনমাথা এলাকায় ঋষি পরিবারের ছেলে চঞ্চল ঋষির বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল।

বিয়ে বাড়িতে আসা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী শাহীনের হোমিও ওষুধের দোকানে গিয়ে বিষাক্ত মদ (অ্যালকোহল) পান করেন।  বাড়ি ফিরে সুমন, তার বাবা প্রেমনাথ ও চাচা রামনাথ এবং প্রতিবেশি রমজান আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সোমবার ভোরের দিকে তাদেরকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। অসুস্থ প্রেমনাথ ও তার ভাই রামনাথ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রমজান আলী স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মারা যান।

অপরদিকে শহরের কালিতলা হাট এলাকায় রোববার রাতে মদপান করেন, সাজু, মোজাহার ও আবদুল জলিল। রাতে বাড়ি ফিরলে অসুস্থ হয়ে তিনজনই মারা যান।

বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ কুমার চক্রবর্তী জানান, তার এলাকার দু’জনসহ মোট পাঁচজন বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে মারা গেছেন।

ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ফরিদ জানান, বিষাক্ত মদপানে ফুলবাড়ি ও কাটনারপাড়ার তিনজন মারা গেছেন।  বিষপানে অসুস্থ শিববাটির মৃত আবু তাহেরের ছেলে রঞ্জুকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ তিনজন রোববার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।  এদের একজন পালিয়ে গেছেন।

বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, পৃথক ঘটনায় বিষাক্ত মদপানে পাঁচজনের মৃত্যুর কথা শুনেছেন। প্রত্যেকের বাড়িতে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর