বগুড়ায় দিনেদুপুরে যুবলীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

বগুড়া শহরে এক যুবক হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় যুবলীগ নেতাকে দিনেদুপুরে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার দুপুরে শহরের আকাশতারা এলাকায় বগুড়া জুট মিলস লিমিটেডের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।


হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই যুবলীগ নেতার নাম আবু তালেব (৩৫)। তিনি স্থানীয় বাজার সাবগ্রাম বন্দর কমিটির যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আকাশতারা এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে আবু তালেব বালু ও মাটির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আবু তালেবকে যেখানে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, গত শুক্রবার সেখানে শাকিল (৩৫) নামের যুবককেও দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শাকিল ২০১৫ সালের ৬ মার্চ সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মানিককে কুপিয়ে হত্যাসহ দুটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। তালেব ও শাকিল হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম বলেন, বেলা দেড়টার দিকে সাবগ্রাম বন্দর থেকে বাজার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন আবু তালেব। কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এমন মুহূর্তে তাঁর মুঠোফোনে কল আসলে মোটরসাইকেল রেখে সড়কে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন তালেব। এই ফাঁকে দুর্বৃত্তরা হামলে পড়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে এবং গলা কেটে হত্যা করে দ্রুত সটকে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। তালেবের বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, আবু তালেবের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনো অজানা। কারণ অনুসন্ধান ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে দিনেদুপুরে। শাকিলকে কুপিয়ে আর আবু তালেবকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। দুটি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে বগুড়া শহরে দিনেদুপুরে চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বগুড়া শাখার সভাপতি মাসুদার রহমান বলেন, এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার কিংবা দখল–চাঁদাবাজি ও ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে সংঘাত। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার কিংবা আইনশৃঙ্খলা যখন নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তখনই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড বেড়ে যায়।

প্রথম আলো