বগুড়ার ব্যবসায়ীরা শুক্রবার থেকে দোকানপাট বন্ধ রাখবেন

বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবে ব্যবসায়ীরা। বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা ১২ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত বগুড়ার সব মার্কেট, বিপণীবিতান ও ফুটপাতের দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ জানান, করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় বগুড়া শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন। করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় দেশের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব দীর্ঘায়িত হওয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে এবং মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। কাজেই স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলা, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক।

মাফুজুল ইসলাম রাজ জানান, জনসাধারণের প্রয়োজনে শুধু ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার ও ফলমূলের দোকান খোলা রাখা যাবে।

শুক্রবার থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত বগুড়া সব মার্কেট, বিপণীবিতান ও ফুটপাতের দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা চেম্বারকে অনুরোধ করেন। মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা চাওয়া হয় বলে তিনি জানান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডোনিস বাবু তালুকদার, বিআরটিসি মার্কেট সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক খান, বগুড়া জেলা হোটেল ও মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-আহ্বায়ক এমএম দেলোয়ার হোসেন, বিআরটিসি শপিং কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হক লিটু।

চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দোকানপাট বন্ধ রাখতে ব্যবসায়ীরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাস্তবায়নে যদি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চায়, জেলা প্রশাসন অবশ্যই সহযোগিতা করবে।

তিনি আরও জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। বগুড়ায় আক্রান্তের সংখ্যার উপর বিভিন্ন এলাকাকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে তা কার্যকর করতে উদ্যোগ নেয়া হবে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, চেম্বার অব কমার্স অথবা ব্যবসায়ীরা করোনা মোকাবেলায় তাদের কার্যক্রমে সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করবে।