বগুড়ার নন্দীগ্রামে ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আটক ২

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় যুবদল-ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছাত্রদলের দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের পুরাতন সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপির সাংসদ মোশারফ হোসেনের চাচাতো ভাই জুয়েল হোসেন (২৬) এবং ছাত্রদলের কর্মী রবিউল ইসলাম (২৭)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে নিরীহ ছাত্র-জনতা এবং হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা, গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁরা সমাবেশ করেন।

খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ  পাল্টা মিছিল বের করে। এ নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির একপর্যায়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিপেটা করে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ ছাত্রদলের দুই কর্মীকে আটক করে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিউল আলম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলাম। সমাবেশ চলাকালীন প্রথমে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী এবং পরে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় ছাত্রদলের দুই কর্মীকেও আটক করেছে পুলিশ।’

নন্দীগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন আহম্মেদ বলেন, ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতা–কর্মী ও পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ তাঁদের ওপর কোনো হামলা করেনি।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, হেফাজতের হরতালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলায় যেকোনো মিছিল-সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীরা মিছিল বের করেন। তাঁরা ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় তাঁরা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্রথম আলো