বগুড়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না জানান, বগুড়া থিয়েটারের আয়োজনে বৈশাখী মেলায় নতুন প্রজন্মের সামনে বিলুপ্তপ্রায় খেলাগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। নিজেদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি উদ্ধার ও লালনে যেন মনোযোগী হয়ে ওঠে নতুন প্রজন্ম। কেননা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহনকারী এসব খেলাধুলা হারিয়ে ফেলতে বসেছি আমরা। মূলত এমন ভাবনা থেকেই গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
মেলায় আসা জহুরুল ইসলাম, শাদেহ শেখ, তোজাম্মেল হোসেনসহ একাদিক ব্যক্তি জানান, মোরগ লড়াই, লাঠিখেলা, গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা, ডাংগুলি, কানামাছি, বৌছি, পাতা আনা, দড়ির লাফ, ওপেন্টি বায়োস্কোপ খেলাগুলো গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল ৷ এসবের মধ্যে কিছু খেলার দেখতে মানুষের ঢল নামতো। গ্রামজুড়ে চলতো আনন্দ-উল্লাস। কিন্তু আগের সে অবস্থা নেই। এসব খেলা এখন সেকেলে হয়ে গেছে। বগুড়া থিয়েটারের এমন আয়োজনের মাধ্যমে হয়তো একদিন গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো আবারো স্বমহিমায় ফিরে আসবে।
প্রবীণ ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই সরকারের ভালো কোনো উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগও বড় প্রয়োজন। তাতে নতুন প্রজন্ম এসব খেলাধুলা সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি বাঙালি জাতি ফিরে পাবে তার নিজস্ব সংস্কৃতি।