বগুড়ায় কী হয়েছিলো মা এবং মেয়েকে নিয়ে?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: শ্রমিক লীগের দলীয় ক্যাডার দিয়ে একজন কিশোরীকে তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। কয়েকদিন পর আবারো ক্যাডার দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে এনে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার মায়ের মাথার চুল কামিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের একজন নেতা।

তিনজন সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম তুফান সরকার। তিনি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক।

মি. চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এ মাসের ১৭ তারিখে তুফান ঐ মেয়েটিকে কলেজ ভর্তিতে সাহায্য করার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে পাঠায়।

কিন্তু মেয়েটি তাতে সাড়া না দিলে, দলীয় কয়েকজন ক্যাডার পাঠিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে আনে তুফান।

এরপর মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। পরে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।

মি. চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত শুক্রবার তুফানের স্ত্রী এবং স্ত্রীর বোন যিনি বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এবং তার মাকে আবারো ক্যাডার পাঠিয়ে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে আনে।

বাসায় নিয়ে রড ও লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধরের পর দুইজনেরই মাথা কামিয়ে দেয় তারা।

আহত মেয়েটি এবং তার মাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেয়েটির মা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার মেয়ে এবং তার ওপর করা অত্যাচারের বিচার চান তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মি. চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে মেয়েটির মা তুফান সরকার এবং তাঁর স্ত্রীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন।

এরপর পুলিশ তুফান সরকার এবং তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদের একজন শনিবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

তুফান সরকারসহ বাকি তিনজনকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। বিবিসি বাংলা