সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
অশোকনগরের রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা গোপাল দাস ও মীনাক্ষি দাস। বিয়ের আগেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাড়ির অমতেই গোপালকে বিয়ে করে নেন মীনাক্ষি। প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। বেশ ভালোই চলছিল ঘর সংসার। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন ঘটে। শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি। অভিযোগ, নানাভাবে স্ত্রী মীনাক্ষির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করে গোপাল।
গোপালের দাবি ছিল, তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষি নাকি দেখতে সুন্দর নয়। দেখতে খারাপ। তাঁর পছন্দ নয়। এরপরই শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে উদ্ধার হয় মীনাক্ষির ঝুলন্ত দেহ। শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয়, মীনাক্ষি আত্মহত্যা করেছেন। যদিও মীনাক্ষীর পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। মীনাক্ষির মা জানিয়েছেন, গোপালের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে আগেই তাঁকে জানিয়েছিল মেয়ে। কারণ সারাদিন ফোনে কথা বলত জামাই। মীনাক্ষির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।