বইমেলায় জাপানি লেখকের বই: আফটার দ্য কোয়েক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এবারের বইমেলা-২০১৯ এ পাওয়া যাচ্ছে হারুকি মুরাকামির বই ‘আফটার দ্য কোয়েক’।

বইটির অনুবাদ করেছেন ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ।

রহস্যে পূর্ণ বইটিতে রয়েছে টোকিও সিকিউরিটি ট্রাস্ট ব্যাংকের শিনঝুকু শাখায় ঋণ বিভাগের সহকারী প্রধানের সঙ্গে অতিকায় এক ব্যাঙের কথোপকথন।

টোকিও শহর নিয়ে এ গল্পটি আবর্তিত।

মানুষের ভাষায় কথা বলতে পারা অতিকায় এই ব্যাঙটি ওই ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে একটি জরুরি বিষয় নিয়ে কথা বলতে আসে।

কী ছিল সেই জরুরি কথাটি যার সমাধান একমাত্র কাতাগিরি নামের ওই ব্যাংক কর্মকর্তাই দিতে পারেন?

গল্পের শুরুতে কাতাগিরির অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন মানুষের সমান ব্যাঙটি।

তাকে দেখে ভয় পেয়ে যান কাতাগিরি। প্রথমে কেউ একজন ব্যাঙের কস্টিউম পরে তার সঙ্গে মজা করছেন ভাবেন কাতাগিরি।

কিন্তু আস্তে আস্তে টের পান যে, সত্যি সত্যি এটি একটি ব্যাঙ।

কাতাগিরি ও ব্যাঙের কথোপকথনের কিছু অংশ তুলে ধরা-

ব্যাঙ : আমাকে ‘ফ্রগ’ নামে ডাকবেন, ভয় পাবেন না। আমি আপনার ক্ষতি করতে আসিনি। ভেতরে আসুন এবং দরজাটা বন্ধ করে দিন। প্লিজ।

কাতাগিরি নড়াচড়ার সাহস পেলেন না।

ব্যাঙ: প্লিজ, মি. কাতাগিরি, তাড়াতাড়ি দরজাটা বন্ধ করুন এবং জুতা জোড়া খুলে ফেলুন। নির্দেশ অনুযায়ী দরজাটা বন্ধ করে একটা চেয়ারে বসলেন কাতাগিরি।

ব্যাঙ: আমার ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত মি. কাতাগিরি, আমার জোরপূর্বক প্রবেশের জন্য যখন আপনি বাইরে ছিলেন।

ব্যাঙ কথা বলেই যাচ্ছে-

ব্যাঙ: আমি জানতাম আমাকে এখানে দেখাটা আপনার জন্য ধাক্কার মতো হতে পারে। কিন্তু আমার আর কোনো উপায় ছিল না। এক কাপ চা হলে কেমন হয়? আমি ভেবেছিলাম আপনি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসবেন, তাই সামান্য পানিও ফুটিয়ে রেখেছি।

ফ্রগ নামের ব্যাঙটি এক কাপ গ্রিনটি কাতাগিরির সামনে রাখল এবং নিজের জন্যও আরেক কাপ ভরে নিল।

নিজের চায়ে চুমুক দিয়ে, ফ্রগ জিজ্ঞাসা করল, ‘শান্ত হয়েছেন?’

কিন্তু তখনও কাতাগিরি কোনো কথাই বলতে পারলেন না।

ব্যাঙ: জরুরি ব্যাপার আমাকে এখানে টেনে নিয়ে এসেছে। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন।

কাতাগিরি: জরুরি ব্যাপার?

ব্যাঙ: হ্যাঁ, তাই।

কাতাগিরি: এই ‘ব্যাপার’ বিষয়টার সঙ্গে আমার বিশেষ কোনো সংযোগ আছে কি?

কাতাগিরি ভাবলেন কারও ঋণ পরিশোধের মধ্যস্থতার জন্য এসেছে এ কথা বলা ব্যাঙ।

ব্যাঙ জানালো, আমি এখানে কোনো ছোটখাটো ব্যবসায়ের আলাপ করতে আসিনি। আমি এখানে এসেছি টোকিওকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে।

এর পর কাতাগিরি কী টোকিওকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে? কারা টোকিওর ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে? একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এ বিষয়ে কী করতে পারেন? আর কে এই মানুষের মতো কথা বলতে পারা বিশালাকার ব্যাঙ?

অনেক প্রশ্নই জমতে পারে পাঠকের মনে।

 

২০১৯ বইমেলাতে অবসর প্রকাশনা সংস্থাতে বইটি পাওয়া যাচ্ছে । বইটির মুদ্রিত মূল্য ২৫০ টাকা।