ফ্রান্সে চলছে করোনার দ্বিতীয় ধাপ

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ চলছে ইউরোপে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফ্রান্সে।

 

গত সপ্তাহের রিপোর্টে দেখা গেছে, নতুন করে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃতের সংখ্যাও ক্রসমাগতভাবে বাড়ছে।

ফ্রান্সের মার্চের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দুই মাস লকডাউনে থাকে পুরো ফ্রান্স। ঘরবন্দি হয়ে পড়েন ৬০ লাখ মানুষ। বিচ্ছিন্ন থাকে সব ধরনের যোগাযোগ।

ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমতে থাকে। ঘর ছেড়ে বাইরে আসতে থাকেন মানুষ, কাজে ফিরেন কর্মজীবীরা।

সম্প্রতি আবারও উদ্বেগ দেখা দেয় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায়। বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যাও।

শুরুতে যখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন মানুষের মনে ধারণা ছিল ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধরাই কেবল করোনার থাবায় প্রাণ দিচ্ছেন।

দিন যত গড়াচ্ছে ধারণা পাল্টাতে শুরু হলো। মধ্য বয়স্ক কিংবা কম বয়স্করাও করোনায় মারা যাচ্ছেন।

সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে, সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড র্স্পশ করল শনিবার। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবারই একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন মৃতের সংখ্যাও ছিল ৫০ জন।

একদিকে করোনার দুশ্চিন্তা, অন্যদিকে অর্থনীতি ধসের দিকে যাচ্ছে। প্যারিস পর্যটননির্ভর একটি শহর, প্রতি বছর এক কোটি পর্যটক আসেন এই শহরে। এ বছর পর্যটক নেই বললেই চলে। সুতরাং পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যবসায়ীই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

শুধু যে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তা নয়, চাকরিও হারাচ্ছেন কেউ কেউ। ফলে আর্থিক সমস্য প্রবল আকারে দেখা দিচ্ছে।

কেউ জানে না কবে আসবে সেই দিন। মুক্ত আকাশে মুক্ত মনে নিঃশ্বাস নেবে, ফিরে পাবে স্বাভাবিক রূপ।

 

সূত্রঃ যুগান্তর