ফেসবুকের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের ‘পরিচয়’ মাস ছয়েক আগে। চ্যাট বক্সে যোগাযোগ হতো দুজনের। মেয়েটি দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী, ছেলেটির নাম প্রিন্স চৌধুরী। গত রোববার কিশোরী মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে আসে প্রিন্স। মোহাম্মদপুরে মেয়েটির স্কুলের সামনে দেখা হয় তাদের।

তারপর কৌশলে মেয়েটিকে মিরপুর ১ নম্বরের এক বাসায় নিয়ে প্রিন্স বলে, এটা তার মামার বাসা, ছাদে গিয়ে নিরিবিলি গল্প করবে। কিন্তু বাসায় নিয়েই পাল্টে যায় ছেলেটির আচরণ, ধর্ষণ করে মেয়েটিকে।

মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে পালিয়ে যায় প্রিন্স। মেয়েটিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিক্যালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রেমিকরূপী ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মেয়েটির ভাই জানান, তার ছোট বোন রোববার সকালে স্কুলে গিয়েছিল। দুপুরে হঠাৎ মেয়েটি তার বাবাকে ফোন করে অসুস্থতার কথা জানায়। পরে তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান।

কিশোরীর বর্ণনার বরাত দিয়ে বড় ভাই জানান, ফেসবুকে পরিচয় এবং আলাপের সূত্র ধরে প্রিন্স নামের একটি ছেলে রোববার সকালে স্কুলের সামনে আসে। তারপর মেয়েটিরকে রিকশায় করে মিরপুরের একটি বাসায় নিয়ে যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড দেখে জায়গাটি যে মিরপুর ১ নম্বর, তা জানতে পেরেছিল তার বোন।

সেখানে এক বাসায় নিয়ে জোর করে ধর্ষণের পর প্রিন্স পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তার বোন নিজেই কল্যাণপুরের একটি হাসপাতালে যায়। সেখান থেকেই ফোন করে বাবাকে। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার তাকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কিশোরীর ভাই জানান, বিষয়টি তারা মৌখিকভাবে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ এবং র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৪ এর কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। প্রিন্সের মোবাইল নম্বর দিয়েছেন, ফেসবুকের আইডির বিষয়েও জানিয়েছেন তাদের। ছেলেটির বিস্তারিত পরিচয় তার বোন দিতে পারেনি বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়েছি। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রিন্স নামে এক যুবক মেয়েটিকে মিরপুরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে শুনেছি। কিশোরী মেয়েটির বাসা আমার থানা এলাকায় হলেও ধর্ষণের ঘটনা মিরপুর এলাকায় ঘটেছে। একারণে মিরপুর থানায় মামলা হবে। তবে মিরপুর মডেল থানায় খোঁজ নিয়ে এ ধরনের কোনও মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন