ফাহাদ হত্যায় জড়িত ছাত্রলীগের দু’জন নেতা রাজশাহীর

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আবরার ফাদাদকে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকেসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। সোমবার রাতে চকবাজার থানায় এ মামলাটি করেন নিহত আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান কৃষ্ণপদ রায়।

সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন। আবরারকে হত্যার সিসিটিভি ফুটেজের কিছু অংশ প্রকাশ্যে এসেছে।

এদিকে, আবরার হত্যায় মামলায় জড়িতদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি রাজশাহীতে। এরা হলেন, অনিক সরকার ও মেহেদী হাসান রবিন। এদের মধ্যে অনিক সরকার মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর রবিন পবা উপজেলার কাপাসিয়া এলাকার মাকসুদ আলীর ছেলে।

এদের মধ্যে অনিক সরকার বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। তিনি ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে মেহেদী ছাত্রলীগের কোন পদে আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অনিক ছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক সেফায়েতুল ইসলাম জিওন এবং গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না।

এদিকে,বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১১ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এই ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল-নাহিয়ান খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, সেই তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১১ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তাদের সাংগঠনিকভাবে ছাত্রলীগ থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতেদর মধ্যে ফাহাদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, দুই নম্বর আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির উল্লেখযোগ্য।