ফারাক্কায় রণক্ষেত্র, পুলিশের গুলিতে নিহত ১

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

টানা লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা। ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে রোববার ফারাক্কা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এ সময় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে  একজন নিহত এবং সাত পুলিশসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে।

ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে ফারাক্কা এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ নেই, ফলে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরে গিয়েও সুরাহা হয়নি।

তার জেরেই রোববার সকাল থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসেন  ফারাক্কা  বাসিন্দারা। সেই অবরোধের ক্ষোভই ক্রমে পুরো ও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশ ফারাক্কাবাসির ক্ষোভের মুখে পড়ে। অবরোধকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও  বোমা ছোড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা আক্রমনে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পুলিশের গুলিতে জামাল শেখ (২৬) নামে একজন অবরোধকারী নিহত হয়।

অপরদিকে ফারাক্কা থানার আইসিসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ অবরোধকারী।

পুলিশ জানিয়েছে, উত্তেজিত জনতা ১৫ টি সরকারি বাস ভাঙচুর করেছে। ভেঙে দিয়েছে পুলিশ ও বিডিও-র গাড়িও। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি তাজা বোমা।

মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অংশুমান সাহা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। পাল্টা গুলি ও বোমা ছুড়েছে এলাকার লোকজনও। কার গুলিতে জামালের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।’

হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আইসি সমীররঞ্জন বলেন, ‘যে ভাবে অবরোধকারীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইট, গুলি ও বোমা ছুড়তে শুরু করে তাতে আমাদের গুলি না চালিয়ে উপায় ছিল না।’

ফারাক্কার বিধায়ক কংগ্রেসের মইনুল হক ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় নিন্দা করে বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়েই মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন।

অথচ পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালাল! আমরা এ কোন রাজ্যে বাস করছি?’’ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার সেখানে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম।

 

 

 

 

সূত্র: রাইজিংবিডি