সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ফাইভ-জি’র সুফল পেতে হলে ঘরে ঘরে ফাইবার (ক্যাবল) পৌঁছাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এপনিক-৪৯ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তারা। বক্তারা বলেন, নিউজিল্যান্ডের ৮৭ শতাংশ বাসা বাড়িতে ফাইবার পৌঁছে গেছে। অস্ট্রেলিয়া এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। ফাইভ-জি একটি ইকোসিস্টেম উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ফাইবার টু হোম যত বেশি হবে, ফাইভ-জি’র সুফল তত বেশি পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরের ক্রাউন প্রমেনেড হোটেলে শুরু হয়েছে এপনিক-৪৯ তম (এশিয়া প্যাসিফিক ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক সেন্টার) সম্মেলন। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে অ্যাপ্রিকট (এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারনেট কনফারেন্স অন অপারেশনাল টেকনোলজি)-২০২০। চার দিনের এই সম্মেলন শেষ হবে আগামী শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি)।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা থেকে ৬০টি দেশের সরকারি, বেসরকারি প্রতিনিধিরা এই সম্মলনে অংশ নিচ্ছেন। এপনিকের ৫০তম সম্মলন আগামী বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন— এপনিকের ইসি কমিটির চেয়ার গৌরব রাজ উপাধ্যায় ও অ্যাপ্রিকটের চেয়ার ফিলিপ স্মিথ। তারা বলেন, তথ্যাপ্রযুক্তি কোন দিকে যাচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে কী ধরনের ঢেউ আসতে পারে, তা আমরা এই সম্মলন থেকে বোঝার চেষ্টা করবো। তথ্যপ্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তার কৌশল নির্ধারণের তাগিদ দেন তারা। তারা বলেন, ইন্টারনেটকে উপযুক্ত সময়ে, কঠোরভাবে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে এই ইন্টারনেটই একদিন মানুষের এক নম্বর শত্রুতে পরিণত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ছিল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন। ডেভিড হুটন নামে এক আলোচক ইন্টারনেটের তিন সময় (১৯৯৬,২০২০ ও ২০৪৫) নিয়ে আলোচনায় দেখান এর গতিপ্রকৃতি। আইক্যানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড কনরাড ইন্টারনেটের এফটিটিএইট ও এফটিটিপি প্রটোকলের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য ও কনট্রাস্ট নিয়ে আলোচনা করেন, যার প্রায়োগিক এলাকা হলো এশিয়া প্যাসিফিক।
বাংলাদেশ থেকে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব নূর উর রহমানের নেতৃত্বে সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। সম্মলন থেকে বাংলাদেশ কী টার্গেট করছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এশিয়া প্যাসিফিক জোনে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে, তা জানা হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। তারা কতটা এগিয়েছে, আমরা কোথায় আছি, তাও বোঝা যাবে এই সম্মেলন থেকে। আমাদের প্রতিনিধি দলে যারা আছেন— তারা এখান থেকে নতুন নতুন ধারণা নিয়ে যেতে পারবেন। আগামীতে কী কী রেগুলেশন আসতে পারে, সেসবও এই সম্মলনে আলোচনা হবে।’
প্রতিনিধি দলের সদস্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিব বলেন, ‘প্রযুক্তি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের ওপর আইটিইউ থেকে চাপ আছে আইপিভি-আইপিভি-সিক্স (ইন্টারনেট প্রোটোকল, ভার্সন ৬) বাস্তাবায়নের জন্য চাপ আছে। আমাদের দেশে এটা খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে।’