এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৪২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হল।
মঙ্গলবার যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে সাতজনের বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের একটি গ্রামে। এছাড়া মধুখালীতে একজন ও নগরকান্দায় একজন রয়েছে।
বোয়ালমারীতে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মা (৬০), ছেলে (৪৪), নাতনি (২৬) রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বাবা (৫৫) ও ছেলে (২৫)। এছাড়া রয়েছে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ এবং ২০ বছরের এক তরুণ।
ঢাকা থেকে আগত এক নারী আত্মীয়ের মাধ্যমে বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের ওই গ্রামে করোনা ছড়ায়। এর আগে গত ১০ মেয়ে আগত নারীর ৫ স্বজন আক্রান্ত হন।
এদিকে মধুখালীতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৪ বছরের এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ৯ মে অসুস্থ হয়ে ফরিদপুরে আসেন। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তিনি।
আক্রান্ত অপরজন হলেন নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনে গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি গত ৪ মে ফরিদপুর আসেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে মঙ্গলবার নতুন করে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৪২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হল। এর মধ্যে বোয়ালমারীতে ১৭, ফরিদপুর সদরে ৮, নগরকান্দায় ৬, ভাঙ্গায় ৩, চরভদ্রাসন, আলফাডাঙ্গা, সদরপুর ও মধুখালীতে ২ জন। এর মধ্যে সাতজন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে নগরকান্দার ৪ এবং বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গায় ১ জন করে রয়েছেন।
ফরিদপুর করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এ ল্যাবে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরের ৬৮ এবং গোপালগঞ্জের ৭৭ জন। মঙ্গলবার ফরিদপুরের ৯ জন ও গোপালগঞ্জে ৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের ওই গ্রামটি আগে থেকেই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার নগরকান্দার ডাঙ্গী ও মধুখালীর জাহাপুর ইউনিয়নের গ্রামটিও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্করে