প্রেসক্রিপশন থেকে মিললো ডাঃ রাজন এর মৃত্যুর আসল রহস্য

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ডাক্তার রাজন কর্মকারের মৃত্যকে ঘিরে নানা অভিযোগ আর জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো এবার । খুঁজে পাওয়া গেলো রাজন কর্মকারের মৃত্যুর আগের কিছু প্রেস্ক্রিপশন । জীবিত থাকা অবস্থায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বেশ কয়েকবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হন । পূর্বের প্রেস্ক্রিপশনগুলো থেকে জানা যায় রাজন কর্মকার উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন ।

প্রফেসর ডাক্তার সজল ব্যনার্জি , হেড অফ কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্ট, বিএসএমএমইউ তার চিকিৎসা করেন এবং তার দেয়া প্রেসক্রিপশনে রাজনকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ হিসেবে ট্যবলেট Bizoran দেয়া হয় । এই প্রেসক্রিপশন থেকে সন্দেহাতীতভাবে বলা যায় ডাক্তার রাজন কর্মকার প্রেসারজনিত সমস্যার ভুগছিলেন ।

এছাড়া এই বছরের জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখে ল্যবএইড ডায়াগনস্টিক ধানমন্ডি শাখায় করা রাজন কর্মকারের  একটি নন-ইনভেসিভ কার্ডিয়াক (Echo) ল্যাব রিপোর্ট পাওয়া যায় । সেই রিপোর্ট এর তথ্য মতে রাজন কর্মকারের ডায়াস্টলিক রিলাক্সেশন স্বাভাবিক ছিলোনা । যার অর্থ রাজন কর্মকার হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন ।

ফেসবুক স্ট্যটাস থেকে জানা যায় আগেরদিন ডাক্তার মীর নওয়াজেশ আলী (রাজিব) রাজন কর্মকারকে ওরাল কন্সট্রাক্ট রিকন্সট্রাকশন ওটিতে যাওয়ার জন্যে জোর করতে থাকে । সেদিন দুপুরের খাবার আর রাতের খাবারও ডাক্তার রাজিবের সাথেই গ্রহন করেন রাজন । ডাক্তার রাজন ও ডাক্তার রাজিব ডিনারে গেলে সেখানে ডিনারে তাদের সাথে যোগ দেন ডাক্তার সাজিদ। কিন্তু প্রশ্ন হলো ডাক্তার সাজিদ সেই হাসপাতালে চেম্বার করেনা , ওটির সাথেও তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিলোনা , তবে কেনো ডাক্তার সাজিদ সেখানে গিয়েছিলেন ?

সেই ডিনারে ডাক্তার রাজিব ও ডাক্তার সাজিদের সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয় । যার ফলে রাজন কর্মকারের প্রেসার বৃদ্ধি পায় এবং অসুস্থবোধ করায় সে ওটি অসম্পূর্ন রেখেই চলে আসে । প্রেসার বৃদ্ধি থেকেই পরবর্তীতে তার হার্ট এট্যাক এবং অকাল মৃত্যু হয় ।

কি বিষয়ে ডাক্তার রাজিব আর ডাক্তার সাজিদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে । রাজনের সহকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় রাজনের সাথে তাদের দুইজনের পেশাগত সম্পর্ক ভালো ছিলোনা । তবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন আর ল্যাব রিপোর্ট থেকে এটা পরিস্কার যে রাজন কর্মকারের মৃত্যু হয়েছিল হার্ট এট্যাক এর কারনেই ।