প্রেমিকার বাসায় গিয়ে খুন হলেন যুবক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রেমিকার ভাইয়ের হাতে এক কলেজছাত্র খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পরপর মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও মেয়েটি হাসপাতালে প্রেমিকের লাশের পাশে বসে ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ মেয়েটির ভাইকে আটক করেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গুমড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত প্রেমিকের নাম মো. চান মিয়া (২২)। তিনি উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গুমড়া গ্রামের মো. আসমত আলীর ছেলে। ঝিনাইগাতীর আলহাজ শফিউদ্দিন আহাম্মদ কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া মেয়েটির সঙ্গে চান মিয়ার তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের দুজনের বাড়ি পাশাপাশি। গতকাল রাতে মেয়েটি বিয়ের বিষয়ে আলোচনার জন্য চান মিয়াকে তার বাসায় ডেকে নেয়। মাকে নিয়ে সেখানে যান চান মিয়া। সেখানে কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে মেয়েটির ছোট ভাই রিয়াজুল হাসানের (১৮) সঙ্গে চান মিয়ার প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। ওই সময় রিয়াজুল তাঁর হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে চান মিয়ার বাঁ বুকের নিচে একাধিক আঘাত করেন। রাত দেড়টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রতিবেশীরা চান মিয়াকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবদুল মন্নাফ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবদুল মন্নাফ প্রথম আলোকে বলেন, চান মিয়ার বাঁ বুকের পাঁজরের নিচে ছুরির আঘাতের চিহ্ন ছিল।

এদিকে ঘটনার পরপর পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও মেয়েটিকে হাসপাতালে চান মিয়ার লাশের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। ওই সময় সে বারবার তার ভাইয়ের বিচার দাবি করছিল। পরে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে গুমড়া গ্রাম থেকে রিয়াজুলকে আটক করে।

নিহত চান মিয়ার আত্মীয় আরফান আলী আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে মেয়েটি চান মিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রিয়াজুলের ছুরিকাঘাতে চান মিয়া নিহত হন।

ঝিনাইগাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মেয়েটির ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত চান মিয়ার লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রথম আলো