প্রীতির শরীরে গুলি লেগেছে জানতেন না শ্যুটার মাসুম

রাজধানীতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে হত্যায় মূল গুলিবর্ষণকারী মো. মাসুম ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বগুড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম দাবি করেছেন, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যেই গুলি চালান, তবে প্রীতিকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়েননি।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম আরও বলেন, ‘আমার টার্গেট ছিল টিপুকে হত্যা করা। তাই আমি অস্ত্রের ট্রিগার চেপে রেখেছিলাম। একাধারে গুলি বের হচ্ছিল। প্রীতিকে টার্গেট করে গুলি মারিনি। প্রীতির শরীরে যে গুলি লেগেছে সেটা আমি জানতাম না। হত্যার পরের দিন টিভির খবর দেখে জেনেছি। তাকে আমি গুলি করতেও যাইনি। আমার টার্গেট ছিল কেবল টিপু।’

আজ রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন তিনি (মাসুম) মোটরসাইকেল ও একটি পিস্তল নেন এজিবি কলোনীতে টার্গেট করে হত্যা করতে। কিন্তু সেদিন না পেরে পরদিন গুলি করে হত্যা করেন। মাসুম একাধিক মামলার আসামি। এই হত্যাকাণ্ডে তার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঢাকা শহরে অনেক দিন পর এমন শুটিং মিশনে হত্যা করা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় জাহিদুল ইসলাম টিপুকে। হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণ হারান বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন টিপুকে বহন করা মাইক্রোবাসের চালক মনির হোসেন মুন্না।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন