প্রাণীদের শরীরে দুর্দান্ত কাজ করছে কোভ্যাক্সিন, ট্রায়াল শেষে দাবি ভারত বায়োটেকের

অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য করোনা টিকা নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই সুখবর শোনাল ভারত বায়োটেক। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন  প্রাণীদের শরীরে দুর্দান্ত কাজ করার খবর মিলেছে।  শুক্রবার এই ভ্যাকসিনটির অ্যানিমাল ট্রায়ালের ফলপ্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছে প্রস্তুতকারী সংস্থাটি।

নিয়ম অনুযায়ী মানুষের শরীরের পাশাপাশি প্রাণীদের শরীরেও এই ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োগ করেছিল ভারত বায়োটেক । মোট ২০টি রেসাস বাঁদরকে ৪ ভাগে ভাগ করে এই টিকার একাধিক ডোজ দেওয়া হয়েছিল। ভারত বায়টেকের দাবি, তাদের সেই ট্রায়াল সফল হয়েছে এবং, টিকা নেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রাণীগুলির শরীরে করোনার বিরুদ্ধে ইমিউনোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সংস্থার তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, , কোভ্যাক্সিনের প্রাণী শরীরে পরীক্ষা সফল হয়েছে। দেখা গেছে, এই টিকার প্রভাব প্রাণীদের শরীরেও বেশ সক্রিয় এবং ইতিবাচক। এর প্রভাবে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবডিও। ভারত বায়োটেকের দাবি, অ্যান্টিজেন তৈরিতে সাফল্যের পাশাপাশি এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

কোনও ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল অতিক্রম করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে পারে। প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অর্থ, বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। ‘কোভ্যাক্সিন’ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। এখন চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ট্রায়ালের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। ভাইরোলজিস্টদের মতে, বয়স, বর্ণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্বিশেষে বহু মানুষের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়।

মোট তিন ধাপে এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। যার প্রথম পর্যায়ের প্রথম পর্বের ফলফল ভারতবাসীর মনে আশার সঞ্চার করেছে। শেষ পাওয়া খবরে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই টিকাটি এই মুহূর্তে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ