সিল্কসিটিনিউজ ডেক্স:
যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না- সে সিদ্ধান্ত জানা যায়নি দুই দিনেও।
“ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানায়নি। তাই আমরা তার কাছে ওই ব্যাপারে আর জানতে চাইনি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হওয়ায় জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের সামনে এখন কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগই কেবল বাকি।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে তখনকার এই বদর নেতাকে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর মার্চে আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকায় তিনি রিভিউ আব্নে করেন।
গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগ কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিলে এ মামলার সব বিচারিক প্রক্রিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটে। সেদিন সন্ধ্যায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে পরদিন সকালে তা আসামিকে পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ। কাসেম প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তখনই তা জানতে চাওয়া হয়।
তিনি সেই সুযোগ না নিলে বা প্রাণভিক্ষা চেয়ে বিফল হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ তার প্রাণদণ্ড কার্যকর করবে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার -২ এর জেলার নাশির আহমেদ বুধবারই জানিয়েছেন, মীর কাসেম প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছেন।
ওইদিন কাশিমপুরে গিয়ে কাসেমের সঙ্গে দেখা করার পর তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাদের ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেমকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ‘বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে’। আহমেদ যেহেতু তার বাবার একজন আইনজীবী ছিলেন, সেহেতু তাকে না পাওয়া পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত তারা দিতে পারছেন না।
অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে কাসেম ‘যৌক্তিক সময়ই’ পাবেন।
সূত্র: বিডিনিউজ