সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টায় বলেন, “আমরা দুপুরের পর আবারও তার সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছিলাম। উনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রণভিক্ষা চাইবেন না।”
সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হওয়ায় কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়াই ছিল জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের প্রাণ বাঁচানোর শেষ সুযোগ।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে তখনকার এই বদর নেতাকে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর মার্চে আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকায় তিনি রিভিউ আবেদন করেন।
প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ গত মঙ্গলবার কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিলে এ মামলার সব বিচারিক প্রক্রিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটে।
সেদিন সন্ধ্যায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে পরদিন সকালে তা আসামিকে পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ। কাসেম প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তখনই তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার আবারও প্রশ্ন করা হলে সময় চান কাসেম।
বুধবার তিনি প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ায় আদালতের রায় অনুসারে তার ফাঁসি কার্যকরে এখন আর কোনো বাধা থাকল না।
নিয়ম অনুযায়ী, দণ্ড কার্যকরের আগে আরও এক দফা পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য মীর কাসেম আলী, যিনি একাত্তরে ছিলেন চট্টগ্রামের ত্রাস।
কবে, কোথায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার -২ এর জেলার নাশির আহমেদ আগেই জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সব প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছেন।
সূত্র: বিডিনিউজ