প্রস্তুতি শেষে দুর্গাপুরে কাঁঠালবাড়িয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের গর্ভনিং বডি নির্বাচন স্থগিত

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহী দুর্গাপুরে ভোট গ্রহনের প্রায় আট ঘন্টা আগে নির্বাচন স্থগিতের খবর পেয়েছে প্রার্থীরা। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষে স্থগিতার্দেশর চিঠি পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার কাঁঠালবাড়িয়া স্কুল ও কলেজের গভনিং বডির নির্বাচনে এঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠানে ভোট গ্রহনের কথা ছিলো।

জানা যায়, র্দীঘ প্রায় দুই মাস থেকে কাঁঠালবাড়িয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের গর্ভনিং বর্ডি গঠন করা নিয়ে নানান নাটকীয়তার শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের গর্ভনিং বর্ডি গঠনের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় তা না মেনে একটি পক্ষ নিজের পছন্দমত অযোগ্য ব্যাক্তিকে সভাপতি করতে চায়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এতে বাধা দেয়। স্থানীয়দের দাবি উপজেলার সুনামধণ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গর্ভনিং বর্ডি গঠনের কোন রাজনীতি চলবে না। পরে স্থানীদের তোপের মুখে প্রতিষ্ঠানের অধ্যাক্ষ আমিনুল ইসলাম নির্বাচনের জন্য আবেদন করেন জেলা প্রশাসক বরাবর।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের ১০ তারিখে আবেদনের প্রেক্ষিতে কাঁঠালবাড়িয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের গর্ভনিং বর্ডির নির্বাচনে জন্য ৯৯৮ নং স্বারকের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রেজাইডিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়। প্রেজাইডিং অফিসার নাজমুল হক নিয়োগের পর প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সর্ম্পন করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের অধ্যাক্ষ আমিনুল ইসলামরে সাথে সার্বক্ষনিক নির্বাচনের সকল বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন। কিন্তু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ হলে অধ্যক্ষ চলতি মাসের ৫ তারিখে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনি বিধি মালা ২০০৯ প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগের বিষয়ে কথায় বলা নেই। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৫(২) বিধি মালায় প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। যার ফলে ওই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যাক্ষ আবেদন করেন। সে কারনে এ নির্বাচন স্থগিত হয়।

সভাপতি প্রার্থী ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, অধ্যাক্ষ বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনি ব্যায়ের জন্য আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। এসময় তিনি বলেন নির্বাচন নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু হঠাৎ গত বুধবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম শেষ করে বাড়িতে যাই। এসময় অধ্যাক্ষ আমাকে ফোন দিয়ে বলেন নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আপনি প্রতিষ্ঠানে আসেন। ঠিক তখন রাত প্রায় ১২টা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সে আমাকে নির্বাচন স্থগিতাদের্শ দেন।

এসময় তিনি বলেন একটি পক্ষ আমাকে হুমকি দিয়েছে। নির্বাচন স্থগিত না হলে খুনাখুনি হতে পারে। ওমর ফারুক আরো বলেন, এমন সময় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সে সময় কোন নির্বাচন স্থগিতের আর্দেশ আশে না। নির্বাচনের ভোট গ্রহনের প্রায় ৮ ঘন্টা পূর্বে আমি জানতে পারি। তাহলে ভোটাররা তো জানার কোন কথায় না। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিষ্ঠানের সামনে অনেক ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়। সেখানে তারা ভোট স্থগিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এসময় ভোটাররা জানান, নির্বাচন স্থগিতে শুধু অর্থের ক্ষতি নয়। এটা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশের উপর প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে,সভাপতি প্রার্থী আশরাফ আলী বলেন, আমরা বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে জানতে পারি নির্বাচন স্থকিত করা হয়। অধ্যাক্ষ আমাকে ফোন করে রাতেই নিশ্চিত করেছেন। পরে আমাকে প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে স্থগিতাদের্শ দিয়ে জানান। তবে কি কারনে স্থকিত হয়েছে তা আমার জানা নেই।

কাঁঠালবাড়িয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যাক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার নির্বাচন হলে দুইটি পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো। তাই জনসার্থে সবার কথা চিন্তা করে উর্দ্ধতন কর্মকতার সাথে আলাপ করে নির্বাচন স্থাগিতের জন্য আবেদন করা হলে তা নির্বাচন স্থাগিত করা হয়।

স/অ