প্রশ্ন করলেন সাংবাদিক বোন, উত্তর দিলেন জাকের আলি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

অভিষেকে চমকই দেখালেন জাকের আলি। বিপিএলে দারুণ করা এই ব্যাটার শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো ঝড় তোলেন। ৩৪ বলে স্ট্রাইকরেট ২০০ রেখে ৬৮ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশ ৩ রানে হারলেও জাকেরের ব্যাটে ঠিকই রোমাঞ্চ জাগায়।

এ ম্যাচে মাঠে ছিলেন জাকেরের বোন শাকিলা ববি। বোন শাকিলা আবার একটি জাতীয় দৈনিকের সিলেট প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তবে গতকাল জাকেরের জন্য সংবাদকর্মী বোনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নতুন অভিজ্ঞতা হলো।

কন্যাসন্তানকে নিয়ে প্রেসবক্সে বসেই ভাইয়ের খেলা দেখেছেন শাকিলা। পরে খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভাইকে প্রশ্ন করতে দেখা গেল। শাকিলা জানতে চাইলেন, ‘যেহেতু সিলেটের ছেলে আপনি, ঘরের মাঠে আপনি পারফর্ম করলেন; যারা দর্শক ছিল, সবাই আপনার নাম ধরে চিৎকার করছিল, কেমন উপভোগ করেছেন?’

ভাইয়ের (জাকের) উত্তর, ‘আমি সব সময় সিলেটের মাঠে খেলতে পছন্দ করি। আমার প্রথম শ্রেণির অভিষেকও এখানে। উইকেট খুব ভালো ছিল। সবকিছুই ঠিক ছিল, যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম আরও ভালো লাগত।’

বোন প্রশ্ন করলেন, ভাই দিলেন উত্তর—এমন ঘটনায় জাকের কতটা গর্বিত জানতে চেয়েছিলেন আরেক সাংবাদিক। জাকের বলেছেন, ‘এটা গর্বের বিষয়। সবই আল্লাহর মেহেরবানি।’

এদিন জাকের ৬টি ছক্কা মেরে গড়েছেন ছক্কার রেকর্ড। বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা এখন জাকেরেরই। নিজের ইনিংস নিয়ে জাকের বলেছেন, ‘বিপিএলের আত্মবিশ্বাসটা কাজে দিয়েছে। বিপিএল দুই দিন আগেই শেষ হয়েছে। আর যেহেতু আমার ঘরের মাঠ, আমি মাঠ সম্পর্কে জানি, ভালো ধারণা রাখি, সেটা কাজে দিয়েছে।’ যে বলে আউট হয়েছেন, সে বিষয়ে পরে যোগ করেছেন, ‘বিশ্বাস ছিল পারব। কিন্তু কানেক্ট (ব্যাটে ঠিকমতো বল লাগেনি) হয়নি।’

যদিও বিপিএলে ফর্মে থাকলেও জাকেরকে শ্রীলংকা সিরিজের প্রাথমিক দলে সুযোগ পাননি। আলিস আল ইসলাম চোটে পড়ায় শেষ মুহূর্তে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়। আর সুযোগটা যে আসবে, তা জাকের আগেই জানতেন, ‘আসলে দেখুনৃআমি এই জিনিসটা সবাইকে বলি, আমার যখন সময় আসবে, তখনই আমি সুযোগটা পাব। মানসিকভাবে আমি সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি। আলিস যখন চোটে পড়ে, তখন শান্ত আমাকে বলেছিল, ‘তোর কিন্তু যাওয়ার সুযোগ আছে।’ তখন থেকেই আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।’

শাকিলার স্বামী মামুন হোসেন একটি পত্রিকার ফটোসাংবাদিক। শাকিলার আরেকটি পরিচয়ও আছে। তিনি হবিগঞ্জ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। খেলাধুলা অবশ্য জাকেরের রক্তেই। পাঁচ-ভাই বোনের পরিবারের মধ্যে চারজনই খেলাধুলা করেছেন। তাঁর স্ত্রী নাফিসা তাবাসসুম জাতীয় পর্যায়ের আর্চার।