প্রশ্নপত্র ফাঁসে কোচিং সেন্টার কিভাবে জড়িত?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পরীক্ষা আসলেই বুকটা কেঁপে উঠে না জানি কখন শুনি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে। জাতি যাচ্ছে অন্ধকারের দিকে। আমরা অন্ধকারে যেতে চাই না। আমরা আলোর দিশারী হাতে নিয়ে বিশ্বকে দেখাতে চাই আমরা পারি। কে বা কারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা কঠিন কিন্তু অসম্ভব না।

কিছু কুচক্রমহল প্রশ্নপত্র ফাঁসের যাতে জড়িত। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকার অনেক ব্যবস্থা নিয়েছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা তাতে ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু হেরে যায়নি। আমার বিশ্বাস, আমরা যদি সবাই একত্রে চাই কখনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না, যারা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চাই কেন আমাদের অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন? আমরা শিক্ষিত, সুন্দর, সভ্য মানুষ হতে চাই। প্লিজ প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করুন।

যখন প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কথা উঠে ঠিক তখনই দোষ পড়ে সিস্টেমের ওপর।ডিজিটাল বাংলাদেশে পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করছি না এটা নিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদি আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে পারি তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে কোচিং সেন্টার জড়িত। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কোচিং সেন্টার জড়িত না। কোচিংসেন্টার তো প্রশ্নপত্র পায় না। প্রশ্নপত্র পায় স্কুল, কলেজ অথবা যেখানে ছাপা হয়। তাহলে ক্ষুদ্র কোচিং সেন্টার কিভাবে জড়িত? প্রশ্ন থেকেই যায়।

পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করা হয় কিন্তু সেই পরীক্ষা যদি হয় মেধা নষ্ট করার,জ্ঞান অর্জনের চেয়ে জ্ঞান বিসর্জন করা তাহলে কী দরকার এই পরীক্ষার?

খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি অভিবাভকরা প্রশ্নপত্র ফাঁস নামক কলঙ্কজনক অধ্যায়ে নাম লিখে থাকেন।অভিবাভকদের উদ্দেশে বলতে চাই, পরীক্ষায় বেশি নাম্বার পাবার জন্য নয় , ছেলেমেয়েদের মানুষের মত মানুষ গড়ার জন্য শিক্ষিত করে তোলেন। পিতামাতা হিশেবে আপনি, আপনার পরিবার, আপনার সমাজ এবং আপনার জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ থাকা উচিত।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ সরকারের একার পক্ষে করা অসম্ভব তারপরও এ দায় সরকার এড়াতে পারে না। আমরা সবাই মিলে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। যা আমার একান্ত মতামত।

যুগান্তর